রংপুর বিভাগে লালমনিরহাট ডিভিশনের রেলওয়ের ৯ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন ছাড়ছে নির্দিষ্ট সময়ের অনেক পরে। প্রতিটি ট্রেন আধা ঘণ্টা থেকে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত দেরিতে চলাচল করছে। ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ধীরগতির মাত্রাও ততই বাড়ছে। যাত্রীদের অভিযোগ, ট্রেন কখন আসবে কখন ছাড়বে এ তথ্যও সঠিকভাবে যাত্রীদের জানানো হচ্ছে না। তবে এই অবস্থার জন্য রেল ক্রসিংকে দায়ী করছেন রেলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলের লালমনিরহাট ডিভিশন সূত্রে জানা গেছে, এই ডিভিশন থেকে ৯ জোড়া অর্থাৎ ১৮টি আন্তঃনগর ট্রেন ঢাকায় যাতায়াত করে। ট্রেনগুলো হচ্ছে রংপুর এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, একতা, দ্রুতযান, দোলনচাপা, করতোয়া এক্সপ্রেস ও বাংলাবন্ধা এক্সপ্রেস। প্রতিদিন এসব ট্রেনে ৭ থেকে ৮ হাজার যাত্রী ঢাকাসহ বিভিন্নস্থানে যাতায়াত করেন। ঈদের আগেই প্রতিটি ট্রেনই নির্দিষ্ট সময়ের দেরিতে গন্তব্য পথে যাতায়াত করছে।
রংপুর থেকে রংপুর এক্সপ্রেস রাত সাড়ে ৮টার দিকে ছাড়ার কথা থাকলে ট্রেনটি এক ঘণ্টার বেশি সময় পরে ছেড়েছে। কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস সকালে ছেড়েছে ১ ঘণ্টা ৫০ মিনিট দেরিতে। লালমনি এক্সপ্রেস আধা ঘণ্টা লেটে ছেড়েছে। একইভাবে অন্যন্য ট্রেনগুলো নির্দিষ্ট সময়ের কিছু দেরিতে ছাড়ছে। এসব ট্রেন ঢাকা থেকে দেরিতে ছাড়ায় এই ধীরগতি বলে মনে করছেন রেল সংশ্লিষ্টরা। ফলে অনেকই নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে যেতে পারছে না। ট্রেনের ধীরগতির কারণে অনেকেই জরুরি কাজও করতে পারছে না।
যাত্রীদের অভিযোগ, যাত্রীরা রেল স্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন। ট্রেন কখন আসবে কখন যাবে এর কোনো সঠিক নির্দেশনা নেই স্টেশনগুলোতে। ট্রেনের বিষয়ে সঠিক কোনো তথ্য পাচ্ছেন না বলে অনেক ভুক্তভোগী যাত্রী অভিযোগ করেছেন।
রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী আব্দুর রহিম জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও এটি ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে এক ঘণ্টার বেশি দেরিতে। অপরদিকে ট্রেনের তুলনায় নতুন লাইন না থাকায় ক্রসিংয়ে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হচ্ছে।
রেলের লালমনিরহাট ডিভিশনের ডিভিশনাল সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা ফারুকুল ইসলাম জানান, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার ট্রেনের সিডিউল ভাল। এবার সিডিউল বিপর্যয়ে তেমন শঙ্কা নেই।
বিডি প্রতিদিন/এমআই