বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক প্রসূতি নারীর সিজারিয়ান অপারেশনের সময় তার পেটে গজব্যান্ডেজ রেখে সেলাই করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। দীর্ঘ ১ মাস পেটের মধ্যে গজ থাকায় পঁচে নাড়ি ছিদ্র হয়ে গেছে। সেলাই থেকে পড়ছে পুঁজ। এ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তির পর ফের অপারেশন করে ওই গজ বের করলেও সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছেন ৩ সন্তানের জননী ওই নারী। এ ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শের-ই বাংলা মেডিকেলের প্রসূতি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ঝালকাঠীর নলছিটির জিয়াউল হাসানের স্ত্রী শারমিন আক্তার গত ১৬ এপ্রিল সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন। অস্ত্রপচারের পর থেকেই পেটে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করেন তিনি। ওই সময় একই মেডিকেলের সার্জারী বিভাগে কিছুদিন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরেন শারমিন। কিন্তু অবস্থার উন্নতি হয়নি, বরং প্রচন্ড ব্যাথা সহ পেট ফুলে যায়। ২১ মে সেলাই দিয়ে পুঁজ বের হলে তাকে ফের শের-ই বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করে স্বজনরা।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ২২ মে ফের অস্ত্রপচার করে তার পেট থেকে পঁচে যাওয়া গজ বের করেন চিকিৎসকরা। সিজারিয়ান অপারেশনের সময় সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বহীনতার কারণে মেয়ের জীবন বিপন্ন হওয়ায় ক্ষুব্ধ তার বাবা। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন শারমিনের বাবা আব্দুর রব সিকদার।
দ্বিতীয় দফায় শারমিনের পেটে অস্ত্রপচার করা সার্জারী বিভাগের প্রধান ডা. নাজিমুল হক জানান, দীর্ঘদিন পেটের মধ্যে গজ থাকায় ইনফ্যাকশন হয়ে নাড়িতে পচন ধরেছে। যথাযথ চিকিৎসা পেলে সুস্থ হতে কিছুদিন সময় লাগবে তার।
এদিকে এ ঘটনা তদন্তে গত মঙ্গলবার ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছেন হাসপাতালের পরিচালক। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম।
চিকিৎসকের ভুলে এর আগেও বহু রোগীর জীবন বিপন্ন হয়েছে শের-ই বাংলা মেডিকেলে। অভিযোগ উঠেছে তদন্ত কমিটির নামে প্রতিটি ঘটনা দেয়া হয় ধামা চাপা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল