সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত পলাতক খুনি খন্দকার আব্দুর রশীদের মেয়ে খন্দকার মেহনাজ রশীদকে গুলশান ক্লাবের ডিজিএম এডমিন পদে নিয়োগ দেওয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘খুনি রশীদের মেয়ে মেহনাজ রশীদ ২০০৯ সালে তৎকালীন সংসদ সদস্য এবং বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসকে হত্যাচেষ্টার মামলার অন্যতম আসামি হিসেবে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ছিলেন।’
এতে আরও বলা হয়, ‘উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে দীর্ঘদিন পাকিস্তানে পলাতক থাকার পর গোপনে দেশে ফিরে গুলশান ক্লাবের গুরুত্বপূর্ণ পদ ডিজিএম এডমিন পদে চাকরি নেন। গুলশান ক্লাব কর্তৃপক্ষ তার সম্পর্কে সবকিছু জানার পরেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মেহনাজ রশীদকে নিয়োগ দিয়ে তাদের প্রকৃত চরিত্র জাতির সামনে উন্মোচিত করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনির পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার অপরাধে নিয়োগ কর্তৃপক্ষকেও আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।’
‘বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় দুই দফায় ছয়জনের ফাঁসি কার্যকর হলেও মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া রশিদসহ পাঁচ খুনি এখনো পলাতক। পাকিস্তান থেকে গোপনে দেশে ফিরে গুলশান ক্লাবে গত বছরের অক্টোবরে ডিজিএম এডমিন পদে চাকরি নেন মেহনাজ রশীদ। ক্লাবটির সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমানের মেয়াদের শেষ সময়ে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর একজন খুনির মেয়ে উচ্চপদে চাকরি নিলেও ক্লাবটির সাবেক ও বর্তমান কমিটির কেউ তার চাকরির বিষয়ে প্রশ্ন তোলেননি। ফলে বীরদর্পেই মেহনাজ আট মাস ধরে সেখানে চাকরি করছেন,’ উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গতবছর গুলশান ক্লাব থেকে ‘দ্য ক্লাব দ্য প্রেসিডেন্ট’ নামে একটি বই প্রকাশ হয়। এই বইটির সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন মেহনাজ রশীদ। সরকারের কাছে দাবি, অবিলম্বে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি রশিদের মেয়ে মেহনাজ রশীদসহ নিয়োগ কর্তৃপক্ষ গুলশান ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমানকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে গুলশান ক্লাব কর্তৃপক্ষের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র খতিয়ে দেখে প্রত্যেক অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।’
এদিকে মেহনাজ রশীদকে গত ২৫ মে থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে গুলশান ক্লাব।
চাকরিচ্যুতির এক পত্রে মেহনাজ রশীদকে ক্লাবের বৈধ পাওনা/দায় নিষ্পত্তির জন্য ক্লাবের অ্যাকাউন্টস বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করার আদেশ দেওয়া হয়।
গুলশান ক্লাবের সেক্রেটারি লে. কর্নেল (অব.) মো. ফেরদৌস খান স্বাক্ষরিত এই চিঠিতে আরও জানানো হয়, মেহনাজ রশীদ ক্লাবে দায়িত্বকালে কোনো অন্যায় করে থাকলে সেটার দায়ভার ক্লাব কর্তৃপক্ষ বহন করবে না।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ