দেশে প্রথমবারের মত নির্বাচন কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। কুমিল্লায় সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে ১০৫টি ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। ১২ জুনের মধ্যে সিসি ক্যামেরা ইনস্টলেশনের কাজ শেষ হবে। এদিকে ইভিএমের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন দুই সহস্রাধিক কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার এই প্রশিক্ষণ শুরু হয়।
কুসিক রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, এবারই দেশে প্রথম কুমিল্লা সিটি নির্বাচনী ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন। তা বাস্তবায়ন হবে শতভাগ। স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা জোরদারে সিসি ক্যামেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
জানা গেছে, এসব সিসি ক্যামেরার পর্যবেক্ষণে থাকবে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনারগণও। এছাড়া সিসি ক্যামেরায় পুরো নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন রিটানিং কর্মকর্তা।
রিটানিং কর্মকর্তা মোঃ শাহেদুন্নবী চৌধুরী আরো বলেন, ১২ জুনের মধ্যে সব কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ শেষ হবে। কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের ১০৫ টি কেন্দ্রের ৬৪০ টি বুথে ক্যামেরা লাগানো হবে। এছাড়া ক্যামেরায় ভোটারদের উপস্থিতিও পর্যবেক্ষণ করা হবে। তিনি আরো জানান, কেন্দ্রে ও বুথে সিসি ক্যামেরা লাগানো হলেও ভোট দেয়ার গোপন কক্ষ এই ক্যামেরার আওতামুক্ত থাকবে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এসব ক্যামেরা ভোটের আগের দিন রাত থেকে শুরু করে ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত চালু থাকবে। এসময়ের মধ্যে কেন্দ্রের সকল কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হবে।
অপরদিকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) হবে ভোটগ্রহণ। ভোটগ্রহণের আগে প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কুসিক নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া প্রশিক্ষণ চলবে আগামী ১২ জুন পর্যন্ত। কুমিল্লা জিলা স্কুল ও ফয়জুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ে সকাল ৯ থেকে প্রশিক্ষণ শুরু হয়।
রিটার্নিং অফিসার মোঃ শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, ২১ শ ৬৫ জন অফিসার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন। ধাপে ধাপে এ প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যা করার দরকার আমরা সবই করছি।
বৃষ্টি জলাবদ্ধতায় চলছে গণসংযোগ, চলছে বাহাস দিনের অধিকাংশ সময় জুড়ে ছিলো বৃষ্টি। প্রচারণার আর মাত্র বাকি চারদিন। তাই বৃষ্টি আর জলাবদ্ধতা মাড়িয়েও চলছে প্রার্থীদের গণসংযোগ। সাথে চলছে বাহাসও।
বৃহস্পতিবার নগরীর ১৩ নং ওয়ার্ডেও তালতলা চৌমুহনীসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন স্বতন্ত্র মেয়ের প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু। এসময় তিনি বহিরাগতদের এনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে অভিযোগ এনে বলেন, ভোটাররা কেন্দ্রে যাইতে না পারলে ভোট দিবে কেমনে। বাইরের ইউনিয়ন হতে বহিরাগত লোক এনে কেন্দ্রের সামনে অরাজকতা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছে। যাতে ভোটাররা ভয়ে ভোট দিতে না আসে।
এদিকে নগরীর ২৬ নং ওয়ার্ডেও বাউবন্দসহ বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত।
অপর দিকে নগরীর ১৭ নং ওয়ার্ডেও তেলিকোনাসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন স্বতন্ত্র মেয়ের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার। এসময় তিনি অপর দুই প্রার্থীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, কুমিল্লার মানুষ পরিবর্তন চায় সেই পরিবর্তনের জন্য মানুষ আমার সাথে একত্রিত হয়েছে। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা এতদিন মিলেমিশে কুমিল্লাটাকে লুটপাট করেছে। তারা এখন নিজেরা পাতানো ম্যাচ খেলে মানুষকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে ভোটারদের আতঙ্কিত করার জন্য। তারা একজন আরেকজনকে চোর বলে। তারা একজন আরেকজনকে স্টেডিয়ামে যাইতে বলে। আমি বলি, আপনারা অজু করে মসজিদে এসে স্বীকার করুন কে বেশি চুরি করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন