রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানা এলাকা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন বিচারক এম এম হুমায়ুন কবীর। কিন্তু বিচারকের গাড়ি থামিয়ে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হয়। তখন ওই বিচারক তিন কিশোর ছিনতাইকারীকে ধরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর চন্দ্রিমা থানার মদিনানগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
বিচারক এম এম হুমায়ুন কবীরের বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায়। তিনি প্রথম শ্রেণির সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জে কর্মরত আছেন। রাতের ঘটনার বিবরণ দিয়ে শুক্রবার দুপুরে তিনি নিজের ফেসবুক আইডিতে ছিনতাইকারীদের ছবি পোস্ট করেন।
বিচারক এম এম হুমায়ুন কবীর লিখেছেন, ‘নেশাগ্রস্ত তিন ছিনতাইকারী। বয়স আন্ডার দ্য ম্যাচুউরিটি। ছিনতাইয়ের চেষ্টায় আমার গাড়িকে টার্গেট, হাতেনাতে ধৃত এবং পুলিশে সোপর্দ। তারা বুঝতে পারেনি প্রোটেকশন (পিস্তল) আমার সঙ্গেই ছিল। নেশার যন্ত্রণায় নিজের হাত নিজে কেটেছে তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি রাজশাহী চন্দ্রিমা থানার পাশে ঘটেছে।’
সন্তানদের প্রতি সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি ফেসবুকে আরও লিখেন, ‘নিজের সন্তানের প্রতি যত্নবান হোন। খেয়াল রাখুন তারা কী করছে, কোথায় যাচ্ছে, কার সঙ্গে মেলামেশা করছে। এটা আপনারই দায়িত্ব এবং কর্তব্য।’
চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরান হোসেন বলেন, ‘বিচারককে ছিনতাইয়ের জন্য টার্গেট করা হলে তিনি তাদের ধরে ফেলেন। পরে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায় এবং তিন কিশোরকে আটক করে। তখন তল্লাশি করা হলে তিনজনের কাছে সাত গ্রাম হেরোইন পাওয়া যায়। তাই পুলিশ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছে। শুক্রবার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।’
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ