কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা, চিকিৎসকদের মর্যাদা, পেশাগত অধিকার ও নিরাপদ কর্মস্থলের দাবিতে খুলনায় চিকিৎসকদের বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১০ জুন) টাইগার গার্টেন হোটেলে দিনব্যাপী সমাবেশে চিকিৎসকদের অধিকার আদায়ে ৫ দফা ‘খুলনা ঘোষণা’ দেওয়া হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। বিএমএ খুলনা শাখা এ সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে বলা হয়, চিকিৎসা ক্ষেত্রে অব্যবস্থাপনার জন্য রোগী ও তার স্বজনদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম হয়। এক্ষেত্রে দায় চিকিৎসকের না হলেও রোগী স্বজনদের দ্বারা প্রায়ই চিকিৎসকরা লাঞ্ছিত হন। অনেক ক্ষেত্রে রোগীর স্বজনদের হাতে অনেক চিকিৎসকও মারা গেছেন- এমনও নজির আছে। ফলে কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জোর দাবি করা হয়।
শতকরা ৭০ ভাগ চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয় বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়। বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল সমূহে কর্মরত চিকিৎসকদের সরকার প্রদত্ত চাকরির বিধিমালা নেই। বেতন বৈষম্য, পূর্ব নোটিশ ছাড়াই চাকরি থেকে বরখাস্ত করাসহ বেসরকারি পর্যায়ে চিকিৎসকরা নানা সমস্যায় জর্জরিত। অবিলম্বে এ সকল সমস্যা নিরসন করতে হবে।
হাসপাতালে রোগীর সেবার দায় শুধু চিকিৎসকের নয়। তার জন্য প্রয়োজন আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও উপযুক্ত জনবল। অধিক সংখ্যক চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ করা হলেও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের বিষয়টি আমলাতন্ত্রের ইচ্ছার ওপর ঝুলে আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্যের ঘোষণা অনুযায়ী আনুপাতিক হারে চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দিতে হবে।
সংবিধান অনুযায়ী আন্ত:ক্যাডার বৈষম্যের সকল বিষয় সুরাহা করতে হবে। অনতিবিলম্বে চিকিৎসা ক্যাডার আনুপাতিক ১ ও ২ গ্রেডসহ অন্যান্য ক্যাডার পদ সৃষ্টি করে সকল ক্যাডারের একই গ্রেডের সকল কর্মকর্তার সমান পদমর্যাদা ও সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
বিএমএ খুলনা বিভাগ সহ সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন বিএমএর মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক দুলাল, যুগ্ম মহাসচিব ডা. কামরুল ইসলাম খান, ডা. জাভেদ, ডা. ইমরান সুজন, ডা. সৈকত ঘোষ, ডা. সৈকত রায়, ডা. সুফিয়ান রুস্তম, ডা. মাহমুদুল হাসান, ডা. সাইফুল্লাহ মুনসুর, ডা. নিয়াজ মোস্তাফিজ চৌধুরী, ডা. সুমন রায় প্রমুখ।
সমাবেশে খুলনাসহ ৮ জেলার চিকিৎসকরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিএমএ খুলনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. মেহেদী নেওয়াজ।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর