সাভারের আশুলিয়ায় এক আওয়ামী লীগ নেতার ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে তার বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এসময় ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধর করে তার ঘর থেকে নগদ ৩ লাখ টাকা লুটের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
শনিবার সকালে আশুলিয়ার জামগড়ার রুপায়ন মাঠ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী আওয়ামীলীগ নেতার নাম রনি আহম্মেদ। তিনি আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়ন এর ওয়ার্ড কমিটির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক।
অভিযুক্তরা হলেন, ইয়ারপুরের দারোগ আলীর ছেলে ইউনিয়নের সাবেক যুবলীগ নেতা মো. জয়নাল আবেদিন (৩৮) ও তার ভাই রুবেল মিয়াসহ (২৭) অজ্ঞাত প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন।
জানা যায়, কিছুদিন আগে ফেসবুকে রনি এক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন, "ভাই আপনারা কি মীর জাফরকে দেখেছেন"। শনিবার সকালে হামলাকারীরা বাড়িতে এসে আগে মোবাইলে ওই স্ট্যাটাস দেখায়, তারপর মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে বিছানার নিচ থেকে টাকা নিয়ে হামলাকারীরা চলে যায়। তার হাতে ও কোমড়ে মারের জখমের চিহ্ন দেখা যায়। রনি আহমেদের বাড়ির উঠোনে লোকজনের ভিড় সম্বলিত একটি সিসিটিভি ফুটেজ মিলেছে যেখানে দেখা যায় জয়নালসহ বেশ কিছু মানুষের হট্টোগোল।
রনি আহমেদ বলেন, জয়নালের ভাই রুবেল জুয়ার আসর বসাতো। আমি এগুলোর বিরুদ্ধে ছিলাম। এলাকায় অনৈতিক কাজ করার জন্য সুমন ভাই (স্থানীয় যুবলীগ নেতা) তাদের প্রশ্রয় দিত না। কিছুদিন হলো তারা অন্য নেতার পক্ষে কাজ শুরু করে। আমার বাসায় এসে আমাকে জিজ্ঞেস করে এই স্ট্যাটাস আমি কেন দিয়েছি। আমি বলি আমি তো কারও নাম উল্লেখ করে স্ট্যাটাস দেইনি। এই কথার পরেই আমাকে মারধর শুরু করে। আমার বিছানা থেকে টাকা নিয়েছে জয়নালের ভাই রুবেল। আমার বাসায় ভাড়াটিয়ারা যদি না থাকত তাহলে হয়ত আরও ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে যেত। আমি আইনী পদক্ষেপ নিব। আমাকে এলাকা ছাড়তে বলছে তারা। আমাকে ব্যবসা বাণিজ্য করতে দিবে না বলেও হুমকি দিয়েছে। সুমন ভাইয়ের কাছে প্রশ্রয় না পেয়ে তার দলবদল করেছে। আমি তাদের মত দল বদল না করায়, সুমন ভাইয়ের পক্ষে কথা বলায় আমার উপর ক্ষিপ্ত তারা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জয়নালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির সরকারের সাথে কক্সবাজার ঘুরতে গিয়েছিলাম। ওই সময়ে স্থানীয় ইন্টারনেট ব্যবসায়ী সুমন মীর ও রনি আহম্মেদ আমার ডিসের প্রায় ১৫০ লাইন কেটে দেয়। আমি ঢাকায় ফিরে তাদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় গত পরশু দিন লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। আশুলিয়া থানার এসআই সুব্রত রায় আজকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এর পরে আজ আমি রনির বাড়ির সামনে গেলে আমাদের মধ্যে তর্ক বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে আমাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। আমরা তার বাড়িতে কোন ভাংচুর করিনি। কোন টাকা পয়সাও লুট করিনি। রনি আমার ফুপাতো বোন জামাই। তাও সে আমাদের উদ্দেশ্য করে ফেসবুকে উল্টাপাল্টা স্ট্যাটাস দেয়।
হামলার অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে, আশুলিয়া থানার এসআই জি এম আসলামুজ্জামান বলেন, আমি এখনো ঘটনাস্থলে যাইনি। আগে যাই, দেখি কি ঘটেছে সেখানে। পরে বিস্তারিত জানাব।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল