পদ্মা সেতু উদ্বোধন পরবর্তী বরিশাল নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থা সহনীয় রাখতে দুটি বাস টার্মিনাল স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিটি করপোরেশন। দ্রুত সময়ের মধ্যে টার্মিনাল দুটি স্থানান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ।
গত সোমবার রাতে নগর কর্তৃপক্ষের এনেক্স ভবন হলরুমে মিলনায়তনে সংশ্লিষ্টদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানান সিটি মেয়র।
পরদিন মঙ্গলবার রাতে সুধীজন এবং সাংবাদিকদের সাথে এ সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভায় সিটি মেয়র বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর বরিশাল নগরীর ১১.২০ কিলোমিটার মহাসড়কে যানবাহনের চাপ অনেক বাড়বে। এই চাপ সামাল দিতে প্রস্তুত নয় সিটি করপোরেশন। সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ কেন এতদিন নগরীর অভ্যন্তরের ১১.২০ কিলোমিটার মহাসড়ক প্রশস্ত করার উদ্যোগ নেয়নি সেই প্রশ্ন তোলেন মেয়র।
তিনি বলেন, আপাতত যানবাহনের চাপ সামাল দিতে নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রিয় বাস টার্মিনাল কাশীপুরের ট্রাক ট্রার্মিনালে স্থানান্তর করা হবে। কেন্দ্রিয় বাস টার্মিনালের জন্য নগরীর গড়িয়ারপাড়ে নির্ধারিত স্থান থাকলেও সেখানে বালু ভরাটসহ নানা উন্নয়ন কাজ করতে হবে। যা সময়সাপেক্ষ। তাই নথুল্লাবাদ কেন্দ্রিয় বাস টার্মিনাল আপাতত কাশীপুরের ট্রাক টার্মিনালে স্থানান্তর করা হবে।
এদিকে নগরীর রূপাতলী বাস টার্মিনালের একাংশ অর্থাৎ পটুয়াখালী, কুয়াকাটা ও বরগুনাসহ দক্ষিণের অন্যান্য রুটের বাস টার্মিনাল কাঠালতলা অথবা কীর্তনখোলা নদীর তীরবর্তী শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতুর পাদদেশে স্থানান্তর করা হবে। কাঠালতলায় কিছু সরকারি জমি থাকলেও সেতুর পাদদেশের সব জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। শীঘ্রই রূপাতলী বাস টার্মিনালের একাংশ ওই এলাকায় স্থানান্তর করা হবে।
অপরদিকে ঝালকাঠী, পিরোজপুর, বাগেরহাট ও খুলনা রুটের বাস যথারীতি রূপাতলী টার্মিনাল থেকে ছাড়বে বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র। এতে রূপাতলী বাস টার্মিনাল ও গোল চত্ত্বর এলাকায় যানবাহনের চাপ কমার পাশাপাশি যাত্রীদের ভোগান্তিও কমবে বলে প্রত্যাশা করেন মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ।
নগরীর অভ্যন্তরের দুটি বাস টার্মিনাল স্থানান্তরের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বরিশালের বিভিন্ন বাস মালিক সমিতি ও পরিবহন শ্রমিক নেতারা। সিটি মেয়রের এই সিদ্ধান্তকে যুগোপযোগী বলে উল্লেখ করেছেন বরিশাল-পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা