সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুপুরের খাবার খাইয়েছেন বরিশালের মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ। বুধবার নিজ বাস ভবন চত্বরে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে ২ হাজার ১০০ কর্মচারী ও শ্রমিককে খাবার খাইয়েছেন তিনি। মেয়র এবং তার স্ত্রী টেবিলে টেবিলে ঘুরে সবার সাথে কুশল বিনিময় করেছেন। তবে ওই অনুষ্ঠানে যাওয়ার সুযোগ পাননি বর্তমান পরিষদে ওএসডি এবং সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
জানা যায়, অতিথি আপ্যায়নসহ দলীয় ও সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ভরপুর দেশীয় খাবার আয়োজনের রেওয়াজ আছে সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিক আবদুল্লাহর। এই ধারাবাহিকতায় বুধবার ঈদের চতুর্থ দিন দুপুরে নগরীর কালীবাড়ি রোডের নিজ বাসায় ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সিটি করপোরেশনের স্থায়ী ৪৭৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং মাস্টাররোলে নিয়োজিত ১ হাজার ৪৯৪ জন শ্রমিকসহ ২ হাজার ১০০ মানুষকে দুপুরের খাবার খাইয়ে আপ্যায়ন করেন তিনি।
বাসার সামনের খোলা জায়গায় সনাতন ধর্মাবলম্বী এবং পেছনের অংশ অন্যদের জন্য আয়োজন করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টায় শুরু করে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ২২টি টেবিলে চলে খাবার পর্ব। খাবার মেন্যুতে ছিল পোলাও, মুরগির রোস্ট, মুরগির ঝাল মাংস, গরুর মাংস, সবজি, ডাল, ফিরনী এবং কোমল পানীয়। শ্রমিক-কর্মচারীদের মাঝে খাবার পরিবেশন করেন সিটি করপোরেশনের ৩৮ জন কর্মকর্তাসহ ৪৪ জন ব্যক্তি।
তবে ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন না সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফারুক আহমেদ এবং ওএসডি ১১ জন ও সাময়িক বরখাস্তকৃত ১২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। মায়ের অসুস্থতাজনিত কারণে ঢাকায় অবস্থান করছেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। অপরদিকে এই শহরে অবস্থান করেও মেয়রের বাসায় খাবার দাওয়াত পাননি সিটি করপোরেশনের ওএসডি এবং সাময়িক বরখাস্তকৃত মোট ২৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। তবে অনুষ্ঠানে দাওয়াত না পাওয়ায় ওএসডি ও সাময়িক বরখাস্তকৃতদের অনেকেই আক্ষেপ করেছেন।
এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস জানান, ঈদ পুনর্মিলনীর অনুষ্ঠানের পুরো খরচ বহন করেছেন সিটি মেয়র ব্যক্তিগতভাবে। মেয়র এবং তার সহধর্মিণী লিপি আবদুল্লাহ টেবিলে-টেবিলে ঘুরে খাবারের সময় কর্মচারী ও শ্রমিকদের খোঁজ-খবর নিয়েছেন। এতে খুশি সিটি করপোরেশন পরিবার।
সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক আহমেদ মুঠোফোনে বলেন, আজ দুপুরে মেয়রের বাসায় সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শ্রমিকদের খাবারের আয়োজন ছিল। সেখানে ওএসডি এবং সাময়িক বরখাস্তকৃতরা দাওয়াত পেয়েছেন কি না, তা তার জানা নেই।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে সিটি করপোরেশনের চতুর্থ মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন অভিযোগে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওএসডি ও সাময়িক বরখাস্ত করেন সাদিক আবদুল্লাহ। কয়েকজনকে করেন স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত।
বিডি প্রতিদিন/এমআই