ঢাকার দোহারের মৈনটঘাট এলাকায় পদ্মা নদীতে পড়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী তারিকুজ্জামান সানির মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার তার ১৫ বন্ধুর তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ শনিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুতুবপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এসআই (নি:) শামছুল আলম তাদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আশরাফুজ্জামান তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা জানান, ১৪ জুলাই বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে আসামিরা কৌশলে সানিকে পদ্মা নদীর মৈনট ঘাটে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে নদীতে ঠেলে দেয়। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ হন। ঘটনার পর অভিযুক্তরা নিজেদের বাঁচাতে ৯৯৯ নম্বরে পুলিশকে ফোন করেন। পুলিশ এসে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। রাতেই উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। নিখোঁজের ১৬ ঘণ্টা পর গতকাল নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের দল। তাই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের অবস্থান জানতে তাদের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।
অন্যদিকে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় উল্লেখ করে রিমান্ড বাতিলসহ ১৫ জনের জামিনের আবেদন করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট আসামিপক্ষের আবেদন নাকচ করে তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে সানির পরিবারের পক্ষ থেকে করা মামলার পর তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন শরীফুল হোসেন, শাকিল আহমেদ, সেজান আহমেদ, রুবেল, সজীব, নূর জামান, নাসির, মারুফ, আশরাফুল আলম, জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন, নোমান, জাহিদ, শাহরিয়ার মোমেন, মারুফুল হক মারুফ ও রোকনুজ্জামান জিতু।
সংবাদমাধ্যমকে দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল বলেন, সানির মৃত্যু ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে শুক্রবার রাতে দোহার থানায় হত্যা মামলা করা হয়। মামলার পর সানির সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া ১৫ বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ