শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ মেশিনের সার্কিট থেকে আগুনের সামান্য স্ফুলিঙ্গ আর ধোয়া বের হচ্ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে হাসপাতালের কর্মীরা গ্যাস স্প্রে করে মুহূর্তের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ করেন সম্ভাব্য অগ্নিকাণ্ড। কিন্তু তারপরও তৃতীয় তলায় আগুন লেগেছে এমন উড়ো খবরে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ছেড়ে রাস্তায় আসেন শত শত রোগী ও তাদের স্বজনরা। এমনকি চিকিৎসাধীন নবজাতকদের নিয়েও দৌড়ে মাঠে নেমে যান দায়িত্বরত সেবিকারা। শনিবার বিকাল ৪টার দিকে হাসপাতালের নিচতলায় এফ ব্লকে এই ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালের চতুর্থ তলায় 'মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে' চিকিৎসাধীন রুবাইয়া ইসলাম বলেন, বিকালে সবাই আগুন আগুন বলে চিৎকার শুরু করেন। এ সময় স্বামীর সহায়তায় তিনি হাসপাতালেল নিচে নামেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আধা ঘণ্টা পর ওয়ার্ডে ফেরেন তিনি।
রোগীর স্বজন প্রিন্স বৈরাগী বলেন, আগুন লাগার খবরে হাসপাতালের শত শত রোগী ও তাদের স্বজন বাইরের মাঠে নেমে আসেন। দ্রুত নামতে গিয়ে অনেকে আহতও হন। কিন্তু কোথায় আগুন লেগেছে, তা কেউ দেখেননি।
হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় স্ক্যানু বিভাগের কর্তব্যরত সেবিকা শিবানী হালদার বলেন, হঠাৎ আগুন আগুন চিৎকার শুনতে পাই। বাইরে বের হয়ে জানতে পারি হাসপাতালের তৃতীয় তলায় আগুন লেগেছে। দ্রুত চিকিৎসাধীন নবজাতক নিয়ে হাসপাতালের বাইরে নেমে যাই। পরে জানতে পারি, নিচ তলায় আগুন লেগেছিল। আবার নিয়ন্ত্রণ হয়েছে। পরে ওয়ার্ডে ফিরে যাই।
হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মশিউল আলম ফেরদৌস বলেন, নিচ তলার এফ ব্লকের একটি এসির সার্কিটে ফায়ার করে হালকা আগুন ধরে যায়। ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই স্টাফরা গ্যাস স্প্রে করে আগুন ও ধোয়া নিয়ন্ত্রণ করে।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম জানান, রোগীরা আতংকিত হয়ে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছিল। মাইকিং করে অভয় দেওয়ার পর রোগীরা ওয়ার্ডে ফিরে যান। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ