বাংলা একাডেমির কর্মকর্তা আবিদ করিম মুন্না ঈদের দুইদিন আগে ঢাকা থেকে রংপুরের এসেছেন ২৫ ঘণ্টা ৩০ মিনিটে। ঈদের পরে তিনি কর্মস্থলে যোগ দিতে ১২’শ টাকার টিকিট ২২’শ টাকায় ক্রয় করেছেন। শরিবার ঢাকায় পৌছেছেন ১৬ ঘণ্টায়। যাওয়ার সময় বাস ছেড়েছে দেড় ঘণ্টার বেশি দেড়িতে। মুঠোফোনে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঢাকা যেতে যে সময় এবং টাকা ব্যয় হয়েছে ওই টাকা দিয়ে প্লেনে যাওয়া-আসা করা যেত। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঈদের এক মাস আগে প্লেনের টিকিট কাটার সুবিধা দিলে সড়কে যাত্রীদের চাপ, অর্থ ব্যয় এবং ভোগান্তি কমতো।
তার মত আরেক যাত্রী হাসনাত নির্ধারিত দামের চেয়ে অনেক বেশি দামে টিকিট ক্রয় করে ঢাকায় পৌঁছেছেন। রংপুর থেকে বাস ছেড়েছে নির্ধারত সময়ের কয়েক ঘণ্টা পরে। ফলে রাস্তায় তাকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। ঈদের ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন সড়ক পথে যাত্রী পরিবহন স্বাভাবিক হয়নি। রবিবার দুপুরে নগরীর কামারপাড়া ঢাকা কোচস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা গেছে প্রতিটি বাসই নির্ধারিত সময়ের দেড় থেকে ৫ ঘণ্টা দেড়িতে ছাড়ছে। বাস কাউন্টারে কথা হয় ঢাকাগামী মনিরের সাথে। তিনি বলেন, ৩ ঘণ্টা হয়ে গেছে। তার কাঙ্খিত বাস আসেনি। তার মত অনেকেই যাত্রা পথের ভোগান্তি ও বাস কাউন্টারে অপেক্ষার প্রহর শেষ হওয়ার পরে রংপুর থেকে ঢাকায় যাচ্ছেন। যাত্রাপথে বাড়তি বাস ভাড়ার সাথে যোগ হচ্ছে রাস্তায় খাওয়ার বাড়তি টাকা।
ঢাকা কোচ স্ট্যান্ডের একাধিক কাউন্টারের ম্যানেজার বলেন, ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের ৮ থেকে ১০টি স্থানে যানজটের মুখোমুখি হতে হয়। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে বাস চলাচল করা সম্ভব হচ্ছে না। এখন রংপুর থেকে ঢাকা যেতে কম পক্ষে ১৬ ঘণ্টা লাগছে। সিডিউল বিপর্যয়ের কারণে কয়েকটি পরিবহণ তাদের নির্ধারিত সময়ের যাত্রা বাতিল করেছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল