ঈদের অষ্টম দিনে নৌপথে ঢাকাগামী চাপ কিছুটা কমলেও পদ্মা সেতু হয়ে সড়ক পথে এখনও স্রোত অব্যাহত রয়েছে। লঞ্চের সীমিত কেবিন টিকেট নিয়ে কাড়াকাড়ি হলেও ডেকে ঢালাও বিছানায় শুয়ে ঢাকা যাচ্ছেন হাজার হাজার যাত্রী। অপরদিকে নিয়মিত বাসে টিকেট না থাকায় ঢাকামুখি অতিরিক্ত যাত্রীরা দুর্ভোগ সহ্য করে বিকল্প উপায়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করছেন।
ঈদের পর গত ১৫ ও ১৬ জুলাই নিয়মিত সার্ভিসের পাশাপাশি দ্বিগুন স্পেশাল সার্ভিস চলে বরিশাল-ঢাকা নৌপথে। রবিবার ঢাকার সদরঘাটে প্রতিটি লঞ্চ থেকে নামেন দেড় হাজার থেকে ২ হাজারের অধিক যাত্রী। পারাবত কোম্পানির একটি লঞ্চে সকালে ২ হাজারের বেশী যাত্রী নেমেছে সদরঘাটে। সুন্দরবন কোম্পানির একটি লঞ্চে সকালে নেমেছে ১ হাজার ৭শ’ যাত্রী। তবে রবিবার বিকেলে বরিশাল নদী বন্দরে ভিড় ছিলো না আগের দুই দিনের মতো। ১৫ জুলাই বরিশাল নদী বন্দর থেকে ১৪টি এবং ১৬ জুলাই ১৬টি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেলেও রবিবার বিকেলে ঢাকা যাওয়ার জন্য লঞ্চ ছিলো ৮টি। সবগুলো লঞ্চ যাত্রীতে ছিলো পরিপূর্ণ। সবগুলো লঞ্চের কেবিন বিক্রি হয়ে যায় আগেভাগেই। এ কারণে কেবিন কালোবাজারী ছিলো তুঙ্গে।
বরিশাল-ঢাকা রুটের এমভি সুন্দরবন-১০ লঞ্চের মাস্টার মো. মজিবর রহমান বলেন, ঈদের পর ঢাকামুখী চাপ শেষ হয়ে গেছে। আগের দুই দিনের তুলনায় ঢাকার যাত্রী ছিলো কম। আগামী দিনগুলোতে বরিশাল-ঢাকা রুটে নিয়মিত লঞ্চ চলাচল করবে বলে তিনি জানান।
লঞ্চ মালিক সমিতি কেন্দ্রিয় কমিটির সহ সভাপতি মো. সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, আজ নিয়মিত ট্রিপের পাশাপাশি একটি অতিরিক্ত লঞ্চ রুটে যুক্ত করা হয় যাত্রীর চাপ সামলাতে। ঈদ পরবর্তী ঢাকামুখি যাত্রীর চাপ আগামী দিনগুলোতে কমে যাবে বলে তিনি মনে করেন।
এদিকে বরিশাল থেকে সড়ক পথে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকামুখী স্রোত অব্যাহত রয়েছে। আগামী ২০ জুলাই পর্যন্ত পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকামুখী কোন টিকেট নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রিয় বাস টার্মিনালের ঈগল পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার ফয়সাল কবির জানান, ২০ জুলাই পর্যন্ত ব্র্যান্ড কোম্পানিগুলোর নিয়মিত বাসে কোনো সিট নেই। এক্সট্রা (অতিরিক্ত) যাত্রীরা বিকল্প বিভিন্ন পরিবহনে ঢাকার গন্তব্যে যাচ্ছেন।
এদিকে বরিশাল ডিপোতে বিআরটিসি বাস প্রবেশ করা মাত্রই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে ঢাকামুখী সব টিকেট। ব্যক্তিমালিকানাধীন কোম্পানির চেয়ে ভাড়া কম হওয়ায় বিআরটিসি’র এসি বাসে আগ্রহ বেশি যাত্রীদের। প্রতিদিন ঢাকার উদ্দেশ্যে ১৫টির অধিক ট্রিপ চালাচ্ছে বিআরটিসি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল