ক্রেতাদের হলমার্ক যুক্ত স্বর্ণ কেনার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস)।
রবিবার দুপুরে রাজশাহী নগরীর সাহেববাজার স্বর্ণপট্টি কার্যালয়ে বাজুস রাজশাহী শাখার নতুন সদস্য বরণ ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ল অ্যান্ড মেম্বারশিপের সাবেক সভাপতি ও চেয়ারম্যান এমএ ওয়াদুদ খান।
রাজশাহী জেলা বাজুসের সহ-সভাপতি উৎপল রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাজুসের উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি ল অ্যান্ড মেম্বারশিপের ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান, সদস্য সচিব রিপনুল হাসান। বাজুস রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক মকলেসুর রহমান, বাজুস রাজশাহী নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিকাশ সরকার।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বক্তব্য রাখেন।
এতে ব্যবসায়ীরা বলেন, ইতোপূর্বে কেন্দ্রের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ ছিল না। বর্তমান নেতৃত্বের কারণে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা এক ছাতার নিতে এসেছে। যেসব জুয়েলারি মালিকরা এখনও আসেননি, তারাও শিগগিরই চলে আসবেন। প্রশাসনিক সমস্যায় পড়তে হয় ব্যবসায়ীদের। এটি দূর করতে বাজুসের শীর্ষ নেতৃত্ব পদক্ষেপ নেবে বলে আশা করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এছাড়া স্বর্ণের বাজার দর নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে হবে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, বাজুস সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্ব বাজুসে নবজাগরণ তৈরি হয়েছে। এখন ব্যবসায়ীরা আশার আলো দেখছেন। আগামীতে সায়েম সোবহান আনভীরের হাত ধরে এ ব্যবসার স্বর্ণ যুগ ফিরবে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এমএ ওয়াদুদ খান বলেন, এখন জুয়েলারি ব্যবসায় নানা সমস্যা চলছে। দর নিয়ে ব্যবসায়ীদের নানা অভিযোগ। ক্যারেটে অনেক ব্যবসায়ী সমঝোতা করে কম দামে বিক্রি করেন। এতে করে ব্যবসায়ীরা নিজেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এমন ভোগান্তি দূর করতে সবাইকে হলমার্ক যুক্ত স্বর্ণ কেনাবেচা করার আহ্বান জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় রাজশাহী জেলা বাজুসের ২০২২-২০২৪ মেয়াদের পরিচালনা ও আপিল কমিটি গঠন করা হয়।
নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান বিকাশ কুমার সরকার, সদস্য এএসএম হাসেম উদ্দিন ও সাইফুল ইসলাম। আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান এনামুল হক সোহেল, সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ও কাজী শাহেদ।
আগামী ৯০ দিনের মধ্যে এই বোর্ড নির্বাচন সম্পন্ন করবে।
