হঠাৎ করে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে খুলনায় সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়েছেন। দাম বৃদ্ধির কারণে খুলনা থেকে সকল রুটে গণপরিবহণের ভাড়া ৫০ থেকে ১০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
ভাড়া বেশি চাওয়ায় অনেক যাত্রী নির্ধারিত গন্তব্যে না গিয়ে বাসায় ফিরে যাচ্ছেন। একই সাথে তেলের বাড়তি মূল্যে ক্ষতি এড়াতে গণপরিবহন চলাচল সীমিত রেখেছেন বাস মালিকরাও। স্বল্প দূরত্বে ইজিবাইক ও মাহেন্দ্র যাত্রী পরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায় করছে। শনিবার (৬ আগষ্ট) শহরের বিভিন্ন স্থানে এ চিত্র দেখা গেছে।
এদিকে, শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়ার পর শুরু হয় হুলস্থুল কান্ড। খুলনার শহর ও শহরতলীর ফিলিং স্টেশনগুলোতে তেল কিনতে ভিড় জমায় মটরসাইকেল ও অন্যান্য গাড়ির চালকরা। প্রতিটি পাম্পেই ২০০-৩০০ মোটরসাইকেলকে তেলের জন্য অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায়। চাপ সামলাতে পাম্প মালিকরা কাউকে ২০০ টাকার বেশি তেল দেয় নাই বলে জানা যায়।
ভূক্তভোগীরা বলছেন, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত মধ্যবিত্তের টানাপোড়েনের সংসারে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’র মতো। জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাবে কৃষিপন্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের দামও বাড়বে। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে টিকে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়বে।
খুলনা সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে ঝিনাইদহগামী বাসের যাত্রী রফিকুল ইসলাম জানান, দুইদিন আগে তিনি ঝিনাইদহ থেকে খুলনায় এসেছিলেন ১৮০ টাকা ভাড়া দিয়ে। কিন্তু আজ যাবার সময় তাকে ভাড়া বাবদ গুনতে হচ্ছে ২৫০ টাকা। এতে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। একইভাবে খুলনা-পাইকগাছা, খুলনা-সাতক্ষীরাসহ সকল রুটে ভাড়া ১০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ্জামান বলেন, বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব ধরনের জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোয়া। এর মধ্যে জ্বালানি তেলে দাম বৃদ্ধির কারণে নিম্ন মধ্যবিত্তের পরিবারে জীবনযাত্রার ব্যয়ভার মেটাতে নাভিশ্বাস তৈরি হবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ