‘ছিনতাই রোধে কঠোর অবস্থানে পুলিশ। রাস্তার মোড়ে মোড়ে বসানো হচ্ছে ফোর-কে রেজ্যুলেশনের সিসি ক্যামেরা। যেখানে ছিনতাই বেশি হচ্ছে সে স্পটে সার্বক্ষণিক বিশেষ টিম কাজ করছে। এছাড়া মাদক নিয়ন্ত্রণে জিরো টলারেন্স মেনে চলা হচ্ছে।’ শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।
সভায় মাদক নিয়ন্ত্রণ, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ, হাইওয়েতে ছিনতাইসহ অন্যান্য অপরাধ দমনে নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন ওসি। এ সময় এলাকার বিভিন্ন অপরাধ প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাংবাদিক আলী আজম। সভায় উপস্থিত ছিলেন উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ ইয়াসীন গাজী, দৈনিক ইনকিলাবের সাংবাদিক ইয়াছিন রানা, নিউজ২৪ টেলিভিশনের সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম, ভোরের পাতার সাংবাদিক যোবায়ের হোসাইন, দৈনিক ইত্তেফাকের সাংবাদিক জাহাঙ্গীর কবির, বার্তা বাজার পত্রিকার সাংবাদিক তানজীন মাহমুদ তনু।
ওসি মহসীন বলেন, আবদুল্লাহপুর এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা বেশি ঘটে। তিনটি থানা উত্তরা পশ্চিম, উত্তরা পূর্ব, টঙ্গী পূর্ব থানার সংযোগস্থল হওয়াতে ছিনতাইকারীদের উপদ্রব বেশি। হাইওয়েতে বাসের যাত্রীদের কাছ থেকে জানালা দিয়ে মোবাইল ছিনতাই হয়। এছাড়া এই এলাকায় ভাসমান অপরাধী বেশি। অন্য এলাকা থেকে এসে এখানে অপরাধ সংঘঠিত করে। ইতোমধ্যে এসব অপরাধ রোধে এবং অপরাধী শনাক্ত করতে ফোর-কে রেজ্যুলেশনের সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে, আরো বেশি কিছু জায়গায় লাগানো হবে। সার্বক্ষণিক বিশেষ টিম রাখা হয়েছে। এখন অনেকটা কমেছে ছিনতাই। সিসি ক্যামেরা দেখে ছিনতাইকারীদের শনাক্ত করতে পারছি। এছাড়া অন্যান্য এলাকাতেও ছিনতাই রোধে সার্বক্ষণিক সক্রিয় থাকছে পুলিশের একাধিক টিম।
ওসি আরও বলেন, পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আসলে তারও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আমি ইতোমধ্যে সব জায়গায় বলেছি, পুলিশের নামে কোথাও যদি কোন টাকা চাওয়া হয় তাহলে আমাকে ফোন দিবেন। আমি তার ব্যবস্থা নিব। মাদক মুক্ত থানা গড়া আমার স্বপ্ন। মাদক নিয়ন্ত্রণে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিসহ নানা অপরাধ ও প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সাংবাদিক ও পুলিশের সমন্বয় খুবই জরুরী। শুধু পুলিশ ও সাংবাদিকদের সমন্বয়ের ভিত্তিতে থানা এলাকায় নানা অপরাধ প্রতিরোধ ও নির্মূল করা সম্ভব।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল