বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮১তম প্রয়াণ দিবসে বগুড়ায় নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন করে আমরা ক'জন শিল্পী গোষ্ঠী ও ঋদ্ধ সৃজন। শনিবার (৬ আগস্ট) রাতে শহরের পুরাতন শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আমরা ক'জন শিল্পী গোষ্ঠী ও ঋদ্ধ সৃজনের আয়োজনে সংগঠনের সভাপতি লায়ন আব্দুল মোবিন জিন্নাহর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন মাগুরা জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ শহিদুল্লাহ দেওয়ান, বগুড়া সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক লতা পারভীন, সরকারি আজিজুল হক কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অনামিকা পাল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, বিশ্বকবি ররবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ভাষাকে নিজস্ব ভঙ্গিমায়ে উপস্থাপন করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। তিনিই একমাত্র কবি, যিনি তিনটি দেশের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা। ৮০ বছরের জীবনসাধনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার জন্ম এবং মৃত্যুকে একাকার করে তুলেছিলেন অমরতার শাশ্বত বার্তায়।
অতিথিরা আরও বলেন, কলকাতার জোড়াসাঁকোতে ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। তাকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। রবীন্দ্রনাথকে ‘গুরুদেবথ, ‘কবিগুরুথ ও ‘বিশ্বকবিথ অভিধায় ভূষিত করা হয়। রবীন্দ্রনাথের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস, ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন জীবদ্দশায় ও মৃত্যুর পরে প্রকাশিত হয়। তার সর্বমোট ৯৫টি ছোটগল্প ও ১৯১৫টি গান যথাক্রমে গল্পগুচ্ছ ও গীতবিতান সংকলনের অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া তিনি প্রায় দুই হাজার ছবি এঁকেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের রচনা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি এশীয়দের মধ্যে সাহিত্যে প্রথম নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত গানে সংগঠনের শিল্পীরা মনোজ্ঞ নৃত্য পরিবেশন করেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ