অস্বাভাবিক বৃদ্ধির পর রাজধানীর বাজারগুলোতে ডিমের দাম কমতে শুরু করেছে। তবে ডিমের দাম কমলেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। ফলে সবজি কিনে স্বস্তি পাচ্ছেন না ক্রেতারা।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ডিমের ডজন ১২০-১২৫ টাকায় বিক্রি করছেন। এক সপ্তাহ আগে এসব ব্যবসায়ীরা ডিমের ডজন ১৩০-১৩৫ টাকা বিক্রি করেন।
ডিম ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডিমের দাম যে সিন্ডিকেট করে বাড়ানো হয়েছিল এটা সবাই বুঝতে পারছে। অস্বাভাবিক দাম বাড়ার কারণে অনেকে ডিম কেনা বন্ধ করে দেন। ফলে ডিমের বিক্রি ব্যাপক কমে যায়। যার পরিপ্রেক্ষিতে দাম কিছুটা কমেছে। আমাদের ধারণা সামনে ডিমের দাম আরও কমবে।
এদিকে বাজারে নতুন সবজি হিসেবে শিম ও ফুলকপি আসলেও তা ক্রেতাদের স্বস্তি দিচ্ছে না। এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। তবে কেউ এক কেজি নিলে ১৫০ টাকা রাখা হচ্ছে। আর নতুন আসা ছোট ফুলকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা।
দাম অপরিবর্তিত রয়েছে পাকা টমেটো, গাজর এবং বরবটির। এক কেজি পাকা টমেটো বিক্রি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৩০ টাকায়। গাজর বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি। বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা, কাঁকরোলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা পেঁপের কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কচুর লতি, ঝিঙা, চিচিঙ্গার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা।
ভাটার নতুনবাজারে সবজি কিনতে আসা সাদিয়া আফরিন বৃষ্টি নামের এক ক্রেতা বলেন, ডিমের দাম কিছুটা কমলেও অধিকাংশ সবজির দাম এখনো কমেনি। বিশেষ করে নতুন সবজি শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজরের দাম এখনো অনেক বেশি।
অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজ ও আলুর। পেঁয়াজ গত সপ্তাহের মতো ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। তবে কাঁচা মরিচের দাম কমেছে। গত সপ্তাহে ৩০ থেকে ৪০ টাকা পোয়া বিক্রি হওয়া কাঁচা মরিচ এখন ২৫ থেকে ৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে গত সপ্তাহে ব্রয়ালর মুরগির দাম কিছুটা কমলেও এ সপ্তাহে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ব্রয়ালর মুরগি কেজি বিক্রি করছেন ১৭০-১৮০ টাকা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল