জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ১৫০টি আসনে ইভিএম দেওয়া হয়েছে। কারণ সরকার গঠন করতে লাগে ১৫১টি আসন। রাজশাহী জেলা জাতীয় পার্টি বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। শনিবার দুপুরে রাজশাহীর একটি কনফারেন্স রুমে এই বর্ষিত সভার আয়োজন করা হয়।
ইভিএম পদ্ধতির বিরোধিতা করে তিনি নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে বলেন, যেই মুহূর্তে দেশে ডলারের সংকট, সেই মুহূর্তে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করে ইভিএম মেশিন কিনতে হবে, এতে জনগণের কি লাভ? এর আগের ইভিএম প্রক্রিয়া নিয়ে কেলেঙ্কারি হয়েছে। ইভিএম পাবলিক বুঝে না। অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ইভিএম’র বিপক্ষে। ইভিএম-এ ভোট প্রত্যাহার করেন।
বিএনপির পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নীতিগতভাবে দুই মেরুতে। ক্ষমতায় আসতে তারা মারামারি করবে। জনগণ এটা বুঝে গেছে। জাতীয় পার্টির মতো দল ক্ষমতায় আসলে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সহ জনগণ বাঁচবে।
আওয়ামী লীগ দুর্নীতি করে না, ডাইরেক্ট লুটপাট করে অভিযোগ করে জাতীয় পার্টির এই নেতা বলেন, ২০১৬ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তারা এক লাখ চব্বিশ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। রেন্টালগুলোতে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে বসে বসে টাকা লুটে নেওয়া হচ্ছে। ক্যাপাসিটি চার্জের নামে বসিয়ে রেখে এ পর্যন্ত ৮৬ হাজার কোটি টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ আছে, কিন্তু বাড়ি বাড়ি তা পৌঁছে দিতে পর্যাপ্ত লাইন নাই।
রাজশাহী জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক রাহাত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর শিকদার লোটন, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা নুরুল ইসলাম তালুকদার এমপিসহ রাজশাহী জেলা জাতীয় পার্টির বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভার নেতাকর্মীবৃন্দ।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর