রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অফিস সহায়ক পদের চাকরির লিখিত পরীক্ষা দিয়েছেন একজন। আর মৌখিক পরীক্ষায় ধরা পড়েছেন আসল পরীক্ষার্থী।
শনিবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষা দিতে এসে সাইমুম হাসান নামে এক চাকরি প্রার্থী ধরা পড়েছেন।
তিনি প্রক্সি নিয়ে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মোট ৩৪টি পদের জন্য সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরমধ্যে ১৩টি পদ অফিস সহায়কের। সাইমুম এ পদেরই প্রার্থী। শনিবার বিকাল থেকে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছিল। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরীসহ ভাইভা বোর্ডের সদস্যরা সব প্রার্থীরই লিখিত পরীক্ষার খাতার সঙ্গে মৌখিক পরীক্ষার সময় হাতের লেখা মিলিয়ে দেখছিলেন। তখনই সাইমুমের হাতের লেখা লিখিত পরীক্ষার খাতার সঙ্গে মেলেনি। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি প্রক্সি নিয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার কথা স্বীকার করেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এই তরুণের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গঙ্গানারায়ণপুর গ্রামে। সাইমুম চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি কলেজ থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। তার বাবা একজন কলেজ শিক্ষক।
সাইমুম জানান, প্রাইভেট পড়তে গিয়ে রাজশাহীর কাশিয়াডাঙ্গা এলাকার মো. ওয়ালিদ নামে একজনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সেই ওয়ালিদই সম্প্রতি তার চাকরির লিখিত পরীক্ষা দিয়ে যান। এতে তিনি পাস করেন।
জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল জানান, এই পরীক্ষার্থী নিজে যে খাতায় লিখেছে সে খাতায় সে শূন্য পেয়েছে। আর তার নামে অন্যজন যে খাতা জমা দিয়ে গেছে খাতায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে। কিন্তু মৌখিক পরীক্ষায় সে কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছিল না। এছাড়া তারা লিখিত পরীক্ষার খাতার সঙ্গে মৌখিক পরীক্ষার সময় হাতের লেখা মিলিয়ে দেখেন। মেলাতে গিয়েই সে ধরা পড়ে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, এই অপরাধের সাইমুমকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সাইমুমের লিখিত পরীক্ষা যে দিয়েছিল, তার সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন