১ অক্টোবর, ২০২২ ২২:৫৯

স্ত্রী মোবাইলের ছবি ডিলিট করে দেওয়ায় ‘অভিমানে’ যুবকের আত্মহত্যা

অনলাইন ডেস্ক

স্ত্রী মোবাইলের ছবি ডিলিট করে দেওয়ায় ‘অভিমানে’ যুবকের আত্মহত্যা

প্রতীকী ছবি

রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় মো. হাসেম আলী হিরা নামের এক কলেজ শিক্ষার্থী যুবক গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা থানার উত্তর রশিদনগর গ্রামে। তার বাবার নাম মো. জামাল উদ্দিন।

জানা গেছে, হাসেমকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক রাত সাড়ে আটটার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। গণমাধ্যমকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া।

নিহতের ছোট ভাই মো. মাসুদ গণমাধ্যমকে জানান, হীরা একটি কুরিয়ার সার্ভিসে চাকরি করতেন। পাশাপাশি সাতারকুল স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়াশোনা করতেন। তিনি একই কলেজের ছাত্রী তাহমিনা সুলতানা তামান্নাকে তিন মাস আগে বিয়ে করেন। শনিবার বিকেলে হীরাও তার স্ত্রী তামান্না ভাড়া বাসার ছাদে হাঁটতে যান। সেখানে দু’জন মোবাইলে ছবি তোলেন। তবে ছবি খারাপ হওয়ায় স্ত্রী তামান্না রাগে সব ছবি ডিলিট করে দেন এবং দৌড়ে বাসায় চলে আসেন। 

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর হীরা বাসায় ঢুকে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া এবং রাগ করে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন। পরে স্ত্রী তাকে অনেকক্ষণ ডেকেও কোনো সাড়া শব্দ পাননি। তখন দরজা ভেঙে দেখেন, হীরা জানালার গ্রিলের সঙ্গে স্ত্রীর ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছেন। পরে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের স্ত্রী তাহামিনা সুলতানা তামান্না গণমাধ্যমকে বলেন, মাত্র তিন মাস হয়েছে আমাদের বিয়ে হয়েছে। আজ মাগরিবের নামাজ শেষে করে নিজের রুমে গিয়ে জানালার গ্রিলের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর