‘শুধু মহাসড়কে ডিউটি করতে গিয়ে এই কয়েক মাসে আমাদের চারজন পুলিশ সদস্য শহীদ হয়েছেন। কয়েকদিন আগে আমার কয়েকজন পুলিশ সদস্য হামলার শিকারও হয়েছেন। তারপরেও নিরাপদ সড়কের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দিবসের এক দিনের জন্য আপনারা আসেন। আমাদের পরামর্শ দেন, কিন্তু আমরা ১২ মাস আপনাদের সেবায় নিয়োজিত।
কুমিল্লার ১০৬ কিলোমিটার মহাসড়কের পাহারায় আছে মাত্র ২০০ পুলিশ। এত বৃহৎ জায়গায় মাত্র ২০০ জন পুলিশ সদস্য যথেষ্ট নয়। আমরা এদিকে গেলে ওদিক থেকে কল আসে। ওইদিকে গেলে আরেক দিক থেকে কল আসে। আমরাও দৌড়ের ওপর থাকি। তারপরেও আমরা চেষ্টা করছি সব দিক মিলিয়ে কিভাবে মানুষকে নির্বিঘ্নে পারাপার করা যায়।’
জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শনিবার আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ।
সম্মেলনে আগত পরিবহন চালক, মালিক ও অঙ্গ সংগঠন নেতৃবৃন্দের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সড়ক ও জনপদ বিভাগ শুধুই ফুটওভার ব্রিজ করে যাচ্ছে। ফুটওভার ব্রিজে কুকুর ঘুমায়, মানুষ উঠে না। মানুষকে ফুটওভার ব্রিজে উঠানোর জন্য আমরা তারের বেড়া দিয়েছি। এবার মানুষ অভিনব কায়দায় ফুটওভার ব্রিজ এড়িয়ে সড়ক পার হয়। তাই সবার আগে আমাদের সচেতন হতে হবে।’
জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ কুমিল্লার আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান।
সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কবিরুল ইসলাম খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) রাজন কুমার দাস, বিআরটিএ কুমিল্লা সার্কেলের সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী পার্কন চৌধুরী।
উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাজমা আশরাফি, সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা, কুমিল্লা জেলা সড়ক পরিবহন বাস মালিক গ্রুপের মহাসচিব মো. তাজুল ইসলামসহ অন্যান্যরা। সকালে দিবসটি উপলক্ষে শোভাযাত্রা করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন