ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে খুলনা উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সাথে দমকা বাতাসের গতিবেগ বাড়ছে।
সোমবার দুপুরের পর থেকে কয়রা দাকোপ পাইকগাছায় মাঝে মধ্যে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। খুলনা শহর ও বটিয়াঘাটা এলাকায় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৩৫ কিলোমিটার।
ভোর ৬টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত খুলনায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ১২২ মিলিমিটার। এরই মধ্যে জোয়ারের পানির চাপে কয়রা হরিণখোলা ও গাতিরঘেরি বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এই উপজেলায় ১২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে ১৫টি পয়েন্ট দিয়ে নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করতে পারে।
খুলনার কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম বলেন, কয়রার হরিণখোলা ও গাতিরঘেরির বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। হরিণখোলায় স্থানীয়দের নিয়ে মেরামত কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া কয়রায় হোগলা, দোশহালিয়া, মদিনাবাদ লঞ্চঘাট, ঘাটাখালী, আংটিহারা, সুতির গেট ও মঠবাড়ির পবনা বাঁধ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। প্রত্যেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে স্ব স্ব এলাকার বাঁধের দিকে খেয়াল রাখার জন্য। সাইক্লোন শেল্টারগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের প্রধান কর্মকর্তা মো. আমিরুল আজাদ জানান, দুপুরের পর থেকে দমকা হাওয়ায় বাতাসের গতিবেগ ৩০ থেকে ৩৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপকূল এলাকায় বাতাসে গতিবেগ ৪০ থেকে ৪৫ কিলোমিটার। বাতাসের গতিবেগ ক্রমেই বাড়ছে।
এদিকে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে মোংলা বন্দরে পণ্য ওঠানামার কাজ বন্ধ রয়েছে। ঝড়ের কারণে গাড়িসহ পাঁচটি বাণিজ্যিক জাহাজ এই বন্দরে ঢুকতে পারেনি। পণ্য খালাস শেষ হওয়ার পরও তিনটি জাহাজ বন্দর ত্যাগ করতে পারেনি।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ বলেন, সাত নম্বর বিপদ সংকেত জারি হওয়ার পর তারা জরুরি সভা করে বন্দরের নিজস্ব এলার্ট-থ্রি জারি করেছেন। গতকাল রবিবার রাত থেকে বন্দরে অবস্থানরত ১৩টি বাণিজ্যিক জাহাজের মালামাল ওঠানামার কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন