ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় গনসমাবেশ আগামী শনিবার। কিন্তু সমাবেশের তিনদিন আগে থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে দলের নেতাকর্মীরা আসছেন ফরিদপুরে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে সকল ধরনের যানবাহন আগামী ১১ ও ১২ নভেম্বর বন্ধের ঘোষনা থাকায় বৃহত্তর ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা ইতোমধ্যেই আসতে শুরু করেছেন সমাবেশস্থল কোমরপুর আব্দুল আজিজ হাইস্কুল মাঠে।
বুধবার (০৯ নভেম্বর) রাতে শরিয়তপুর জেলা থেকে প্রায় ১ হাজার নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে আসেন। রাতে তারা সমাবেশস্থল স্কুল মাঠেই থেকেছেন। সেখানেই নেতাকর্মীদের খাবারের আয়োজন করা হয়। এদিন রাতে শুধু শরিয়তপুর জেলা থেকেই নয়, ফরিদপুরের পার্শ্ববর্তী রাজবাড়ী, মাগুড়া, ঝিনাইদহ, গোপালগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ জেলা থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ফরিদপুরে এসেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে দলে দলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে দেখা গেছে।
শরিয়তপুর জেলা বিএনপি নেতা শফিক মাতুব্বর, আব্দুল করিমসহ বেশ কয়েকজন জানান, গণসমাবেশে তারা আসতে বাধার সম্মুখীন হবেন এমন ধারনা থেকেই তারা সমাবেশ শুরুর তিনদিন আগেই কয়েকটি ট্রাকে করে তারা ফরিদপুরে চলে এসেছেন। আজ আরও বিপুল সংখ্যক নেতারা আসবেন।
রাজবাড়ী থেকে আসা আবুল হোসেন, সরফরাজ খান, মমিনুল আলম জানান, রাজবাড়ী থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী আজই আসবেন। পরিবহন বন্ধ থাকা এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাধার মুখে যাতে পড়তে না হয় সেইজন্যই আগে ভাগেই তারা চলে এসেছেন। স্কুল মাঠ ছাড়াও তাদের নেতাকর্মীরা আত্বীয়-স্বজনদের বাড়িতে থাকবেন।
আজ সকালে সমাবেশস্থল কোমরপুর আব্দুল আজিজ হাইস্কুল মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, স্থানীয় নেতাদের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা নেতাকর্মীরা ইতোমধ্যেই অবস্থান নিয়েছেন। একাধিক দলে বিভক্ত হয়ে তারা রাত পার করেছেন স্কুল মাঠে।
ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব একে এম কিবরিয়া স্বপন জানান, আগের সমাবেশ গুলোতে সরকার ও পুলিশ যেভাবে বাধা প্রদান করেছে। নেতাকর্মীদের উপর হামলা করেছে। জনস্রোত ঠেকাতে পরিবহন বন্ধ রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। এসব বিষয়গুলো মাথায় রেখেই বৃহত্তর ফরিদপুরের জেলা গুলো থেকে নেতাকর্মীরা সমাবেশের তিনদিন আগে থেকেই আসতে শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, যারা ইতোমধ্যেই এসেছেন তাদের থাকা ও খাওয়া ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা আমরা করেছি। দেশের অন্য সমাবেশ থেকেও ফরিদপুরের সমাবেশ হবে বড়। ফরিদপুরের সমাবেশ ইতিহাস সৃষ্টি করবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ