আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি বলেছেন, এমন সময় আমরা সম্মেলন করছি, যখন এই বাংলাদেশে আমাদের বিরোধী দল নামে খ্যাত বিএনপি রাজপথ উত্তপ্ত করার জন্য প্রতিনিয়ত তারা মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। টেলিভিশন খুললেই আজকে তাদের মিথ্যাচার আমরা শুনতে পাই। আজকে বিভিন্ন জেলায় জেলায় তারা মহাসমাবেশ করছে। ৮ জেলা, ১০ জেলা, ১৫ জেলা মিলিতভাবে তাদের বিএনপির সকল নেতাকর্মীকে একত্রিত করে মহাসমাবেশে রূপ দিচ্ছে এবং এতে তারা খুব উজ্জীবিত। তারা ভাবছে, বাংলাদেশের সকল মানুষ বুঝি তাদের পিছু নিয়েছে এবং এই সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যাচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের কাউলতিয়া সাংগঠনিক থানা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে ভালোবাসে, বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে ভালোবাসে। কারণ তারা দেখেছে- গত ১৪টি বছর, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর যে নির্বাচন হয়েছিল, যেই নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের কাছে ওয়াদা করেছিলেন-‘‘আমি যদি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাই-২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করবো। আমরা যদি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাই ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করবো।’’ শেখ হাসিনা যা বলেছেন তিনি তাই করেছেন।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বাহাদুরপুর এলাকার রোভার স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ময়দানে সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক এবং গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য হেদায়েতুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহ্সান রাসেল এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন ও শাহাবুদ্দিন ফরাজী, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. আজমত উল্লাহ খান, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতাউল্যাহ মন্ডল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহ্সান রাসেল এমপি তার বক্তব্যে জননেত্রী শেখ হাসিনার উপর ভরসা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বঙ্গবন্ধুর কন্যা- যিনি স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) এই দেশকে কিভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়, তার রাতদিন শুধু এটাই চিন্তা। তিনি সারাক্ষণ শুধু দেশের চিন্তায় থাকেন। আজকে দেশের যেদিকে তাকাই, সেদিকে উন্নয়ন। শুধু গাজীপুরে নয়, দেশের সকল জায়গায় সমভাবে উন্নয়ন হয়েছে।
আলোচনা সভা শেষে সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. আজমত উল্লাহ খান কাউলতিয়া থানা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নাম জমা দিতে বলেন। এসময় সভাপতি পদে ৭ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ১৭ জনের নাম জমা পড়ে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের একমত হওয়ার জন্য তাদের সময় বেধে দেওয়া হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলেও তারা কেউ একমত হতে পারেননি। একপর্যায়ে পরবর্তী সময়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কমিটির অন্যান্যদের নাম ঘোষণা করা হবে তিনি ঘোষণা দেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত