রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর ও যাত্রাবাড়ী থেকে শিক্ষার্থীসহ দুজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন কামরাঙ্গীরচরের মাইশা আক্তার মমি (১৪) ও মো. সোহেল (৩০)।
নিহত মাইশা হাজারীবাগ শেখ রাসেল স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তার গ্রামের বাড়ি বগুড়ার সদর জেলায়। সোহেল মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার হাট বান্দিয়া গ্রামের মো. শাবান আলীর ছেলে।
গতকাল বুধবার রাতে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। কামরাঙ্গীরচর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুসরাত জাহান নূপুর বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঝাউচর লাইফ কেয়ার হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত মাইশার মা পেয়ারা বেগম বলেন, আমি সকালে কাজে চলে যাই। বিকালের দিকে বাসায় ফিরে এসে দেখি ছোট মেয়ে মাদরাসায় পড়তে গেছে। আর বাসার দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। প্রতিবেশীদের সহায়তায় দরজা ভেঙে রুমে ঢুকে দেখি ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলছে মাইশা। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, আমার মেয়ে কী কারণে আত্মহত্যা করেছে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
অন্যদিকে, যাত্রাবাড়ীর দোস্ত মোহাম্মদ খান রোড কাঠেরপুল এলাকায় স্ত্রীর ওপর অভিমান করে মো. সোহেল (৩০) নামে এক রংমিস্ত্রি আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার (৯ নভেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে সোহেলের মরদেহ উদ্ধার করি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ঢামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, নিহতের আত্মীয়ের কাছ থেকে জানতে পারি, সোহেলের স্ত্রী জহুরা আক্তার দীর্ঘদিন ধরে সৌদিতে থাকেন। তিনি দেশে না আসায় অভিমান করে সোহেল আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ