বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টায় কুমিল্লার টাউনহল মাঠে গিয়ে দেখা গেলো সেখানে লোকে লোকারণ্য। সমাবেশ ২৬ নভেম্বর হলেও প্রায় ভর্তি হয়ে গেছে মাঠ। দলে দলে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে মাঠে ঢুকছেন। যারা মাঠে আছেন তারা মিছিল আর গানে সময় কাটাচ্ছেন। তারা দ্রব্যমূল্য কমানো, খালেদার মুক্তি নিয়ে মিছিল দিচ্ছেন। কেউ কেউ নিয়ে এসেছেন একতারা, গিটার। মাঝে পাশের চা স্টলে গিয়ে নিজেদের চাঙ্গা করছেন। এদিকে লাইটের আলোয় চলছে মঞ্চ নির্মাণের কাজ।
সরেজমিনে টাউন হল মাঠে গিয়ে দেখা যায়, জেলা ও উপজেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা দলে দলে মিছিল নিয়ে মাঠে প্রবেশ করছেন। অনেকে মাঠেই শুয়ে পড়েছেন। অনেকে আত্মীয় স্বজন ও নেতাকর্মীদের বাসা বাড়িতে অবস্থান নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। চাঁদপুর থেকে আসা কাজী নাঈম, নেছার, সজিব ও রাকিব নামের চার যুবদল নেতা জানিয়েছেন, সন্ধ্যায় তারা একদল নেতাকর্মী নিয়ে মাঠে প্রবেশ করেছেন। রাত মাঠেই অবস্থান করবেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আসা স্বেচ্ছাসেবক দলের রুবেল মিয়া নামের এক নেতা জানিয়েছেন, আমরা কুমিল্লার সমাবেশে যোগ দিতে এসেছি। রাতে এখানেই থাকছি।
চা দোকানি সজিব বলেন, টাউন হলে সমাবেশের আগেই এত মানুষ। কাল পরশু কি অবস্থা হবে কে জানে। আজ তিনগুণ বেশি বেচা হইছে।
কুমিল্লার লাকসাম থেকে আসা কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা রশিদ আহমেদ হোসাইনী ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার জাহান দোলন বলেন, আমরা আগেই এসেছি। যাতে দূর থেকে আসা নেতাকর্মীদের সহযোগিতা করতে পারি।
দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, আমরা সব নেতাকর্মী কুমিল্লায় অবস্থান করছি। আমরা বাইরের নেতাকর্মীদের স্বাগত জানাচ্ছি। থাকা ও খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক(কুমিল্লা বিভাগ) নাজিয়া হক বলেন, আমরা ঢাকা থেকে এসেছি। বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে নারী নেত্রীরা এসেছেন। কুমিল্লায় জনস্রোত বাড়ছে। এখানে শুধু বিএনপি নয় সাধারণ মানুষও আসছেন। সরকারের দুঃশাসনে মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। মানুষের ভয় ভেঙ্গে গেছে। মানুষকে আর বাধা দিয়ে রোখা যাবে না।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, কুমিল্লায় ২৬ তারিখ একটা ইতিহাস হবে। এটি হবে কুমিল্লার ইতিহাসের সর্ববৃহৎ সমাবেশ। এই সমাবেশে যোগ দেবেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। ইতোমধ্যে টাউনহল মাঠ ভর্তি হয়ে গেছে। আমরা নেতাকর্মীদের অর্থায়নেই আগত নেতাকর্মীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছি। যাদের থাকার সমস্যা তাদের থাকার ব্যবস্থাও করেছি।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন