ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা মজুরি প্রদানসহ ১০ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিনে যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। স্বচ্ছল যাত্রীরা অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে বিকল্প ব্যবস্থায় গন্তব্যে গেলেও নিম্নবিত্তরা পড়েছেন বিপাকে। গ্রামাঞ্চল থেকে বরিশাল নগরীতে ডাক্তার দেখাতে এসে রোগীরা আটকে পড়েছেন। তারা নৌযান ধর্মঘট বন্ধে সরকারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তবে বেতন বৃদ্ধিসহ অন্যান্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন নৌযান শ্রমিক নেতারা।
নৌযান শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ, খাদ্য ভাতা ও সমুদ্র ভাতা প্রদান এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ ১০ দফা দাবিতে গত শনিবার মধ্যরাত থেকে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করে নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ। শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে যাত্রীবাহী এবং পণ্যবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
নৌযান বন্ধ থাকায় দ্বীপ জেলা ভোলা ও দ্বীপ উপজেলা মেহেন্দিগঞ্জসহ চরাঞ্চলের মানুষ গন্তব্যে যেতে পারছেন না। অনেকে বরিশাল নগরীতে ডাক্তার দেখাতে এসে আটকে পড়েছেন। স্বচ্ছল যাত্রীরা তিনগুণ-চারগুণ অর্থ খরচ করে বিকল্প ব্যবস্থায় গন্তব্যে গেলেও হতদরিদ্ররা পড়েছেন বিপাকে। ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা নৌযান ধর্মঘট বন্ধে সরকারের আশু হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
এদিকে নৌযান শ্রমিকদের দাবি- পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা বেতনে তাদের সংসার চলে না। বিভিন্ন সময় বেতন বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসলেও কর্তৃপক্ষ তা আমলে নেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে এবার অনির্দিষ্টকালের আন্দোলন শুরু করেছেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত নৌযান শ্রমিকদের আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার এসোসিয়েশন বরিশাল বিভাগীয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মো. নজরুল ইসলাম।
বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের সব জেলা থেকে রাজধানীতে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম নৌ পথ। এছাড়া বরিশাল থেকে অভ্যন্তরীন ১২টি রুটে চলাচল করে যাত্রীবাহী নৌযান। শ্রমিক ধর্মঘটের কারণে পন্যবাহী নৌযান চলাচলও বন্ধ রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল