ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জলাবদ্ধতা নিরসনসহ চলমান অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রমে নজরদারি বাড়িয়ে ঠিকাদারদের কাছ থেকে যথাযথভাবে কাজ আদায় করে নিতে কাউন্সিলরদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে কর্পোরেশনের দ্বিতীয় পরিষদের অষ্টাদশ বোর্ড সভায় মেয়র এ আহ্বান জানান।
ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "আবারও বর্ষা মৌসুম সমাগত। জলাবদ্ধতা নিরসন আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ও বিশাল কর্মযজ্ঞ। গত বছর আমরা অনেক সফলতার পরিচয় দিয়েছি। এ বছর আমাদের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের খালগুলো পরিষ্কার করার জন্য ইতিমধ্যে কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, যার যার এলাকায় খাল আছে -- আপনারা দয়া করে আপনাদের চাহিদা দিয়ে, একটু নজরদারি করে সেগুলো পরিষ্কার করিয়ে নেবেন। সেজন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা আছে। ঠিকাদাররা ১/২ দিন কাজ করার পর হয়তো পরের দিন কাজ করলো না। এ ধরনের বিষয় মাঝে মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। সুতরাং আপনাদের একটু নজরদারি বাড়িয়ে ঠিকাদারদের কাছ থেকে কাজ আদায় করে নিতে হবে।"
জলাবদ্ধতা নিরসনের সুফল ভোগ করতে নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম তদারকির ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, "আমরা সকল নর্দমা পরিষ্কারে ঠিকাদার নিয়োগ করেছি। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ হতে তা এপ্রিল পর্যন্ত চলমান থাকবে। আপনারা অবশ্যই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাথে সমন্বয় করে সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করে আপনার ওয়ার্ডের নর্দমাগুলো পরিষ্কার করিয়ে নেবেন। কোথায় বর্জ্য জমে ভরাট হয়ে গেছে তা আপনাদের নখদর্পনে আছে। অবশ্যই সেগুলো পরিষ্কার করিয়ে নিতে হবে। কারণ জলাবদ্ধতা নিরসনে নর্দমাগুলো ব্যাপক ভূমিকা রাখে।"
খাল ও নর্দমা পরিষ্কার ছাড়াও মাঠ পর্যায়ে চলমান সকল উন্নয়ন কার্যক্রম যেন সঠিকভাবে সম্পন্ন হয় সেজন্য সকল কাউন্সিলরকে সজাগ থেকে ঠিকাদারদের কাছ থেকে কাজ আদায় করিয়ে নেয়ার তাগাদা দিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "এতে করে ঢাকাবাসীকে সেবা দেয়ার যে মহত ব্রত আমাদের রয়েছে, তা পূর্ণতা পাবে।"
এছাড়াও, আজকের বোর্ড সভায় ২ বছর ৬ মাসের মেয়াদকাল অতিক্রম করায় স্থানীয় সরকার সিটি কর্পোরেশন আইন, ২০০৯ এর ৫০(১) ধারা অনুযায়ী অর্থ ও সংস্থাপন বিষয়ক স্থায়ী কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।
সভায় মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস সাধারণ আসনের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ সেলিমকে সভাপতি ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সুলতান মিয়া, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ওমর বিন আব্দাল আজিজ, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল বাশার, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীর হোসেন, ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাদল সরদার এবং সংরক্ষিত আসনের মধ্যে ১৪ নম্বর আসনের লাভলী চৌধুরী, ২০ নম্বর আসনের নাছরিন আহমেদ ও ১৭ নম্বর আসনের সাথী আক্তারকে পুনর্গঠিত কমিটির সদস্য হিসেবে নাম প্রস্তাব করলে কাউন্সিলররা তা একযোগে অনুমোদন দেন।
বোর্ড সভায় কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ছাড়াও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক হায়দর আলী, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত