৫ এপ্রিল, ২০২৩ ০২:৪৩

বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ড: লোকবলের অভাবে মালামাল চুরির আশঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক

বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ড: লোকবলের অভাবে মালামাল চুরির আশঙ্কা

সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর বঙ্গবাজারে মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকালে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটে। আগুন লাগে বঙ্গ মার্কেট-এনেক্সকো টাওয়ারসহ আশপাশের ছয়টি মার্কেটে। আগুনের ঘটনার পর ব্যবসায়ীর নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে যেসব মালামাল সরিয়ে নিতে পেরেছিলেন, এনে রেখেছেন রাস্তা। এখনই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে না পারলে এসব চুরির সম্ভাবনা রয়েছে।

এনেক্সকো টাওয়ার মার্কেটের ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন রাতের মধ্যে যদি তারা বেঁচে যাওয়া মালামাল সরাতে না পারেন, চুরি হয়ে যেতে পারে। কারণ, গুলিস্তান এলাকায় হেরোইন, গাঁজা, ইয়াবাসেবীদের সংখ্যা বহু; তা ছাড়া রয়েছে ভবঘুরে বখাটেদের আনাগোনা। এ অবস্থায় তারা নিরাপত্তার আশা করছেন।

ইতোমধ্যে অনেক ব্যবসায়ীর মালামাল হারিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাই কষ্ট হলেও প্রচুর অর্থ খরচ করা পণ্যগুলো সরিয়ে নিতে চাইছেন তারা। এর মধ্যে দেখা দিয়েছে লেবার সঙ্কট। পর্যাপ্ত লোকবলের অভাবে মালামাল সরাতেও বেগ পেতে হচ্ছে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের। এ অবস্থায় তারা আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা কামনা করেন। মানবিক স্বার্থে আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের মালামাল সরাতে সুযোগ করে দিচ্ছেন।

সরজমিনে দেখা গেছে, বঙ্গবাজার এলাকা ও এনেক্সকো টাওয়ার মার্কেটের সামনে বেঁচে যাওয়া মালামাল এনে কর্মচারী হাসপাতালের সামনের রাস্তায় জড়ো করছেন ব্যবসায়ীরা। লেবার সংকট থাকায় অনেক ব্যবসায়ী নিজেই মাথায় করে সেগুলো রাস্তায় এনে রাখছিলেন। পরে সেখান থেকে পিকআপে করে যার যার গন্তব্যে নিয়ে যাচ্ছেন।

এর আগে রাস্তায় পড়ে থাকা বিভিন্ন দোকানের পরিত্যক্ত ক্যাশবাক্স ও কাপড়ের বস্তা নিয়ে দৌড়ে পালাতে দেখা যায় কিছু ভবঘুরেকে। এ কাণ্ড আইন আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর নজরে আসলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। এরপর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্কতা ও নিরাপত্তা বাড়াতে আহ্বান জানান ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা।

ওই এলাকায় পুলিশ-র‌্যাব সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানান গেছে, সকাল থেকে চুরি-ছিনতাইয়ের কয়েকটি অভিযোগ তারা পেয়েছেন। আর যাতে এমন অমানবিক কাণ্ড না ঘটে, মালামাল চুরি না হয়, সে ব্যবস্থা নেওয়া আছে। আইন রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে আছে। ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা রক্ষা করা হবে বলেও তারা জানান।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর