৬ মে, ২০২৩ ০১:২৬

হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়ে ব্রহ্মপুত্র বাঁচানোর আকুতি

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

 হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়ে ব্রহ্মপুত্র বাঁচানোর আকুতি

হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়ে ব্রহ্মপুত্র বাঁচানোর আকুতি

ব্রহ্মপুত্র নদের বুকে হাঁটুজলে একদল তরুণ। তাদের পাশেই রয়েছে পানি ছাড়া খাবারে সাজানো ডাইনিং টেবিল, ছোট ছোট প্ল্যাকার্ড। এসবই জানান দিচ্ছে ব্রহ্মপুত্রের রুগ্নতা। আর একদল তরুণের কণ্ঠে গানে গানে যেন ‘মৃতের চিৎকার’ করছে ব্রহ্মপুত্র। এসব গান-কবিতায় আয়োজিত হয়েছে অনন্য, অভিনব কৌশলে ব্রহ্মপুত্রকে বাঁচানোর প্রতিবাদ।

গতকাল দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত নগরীর কাচারিঘাট এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের হাঁটজলে নেমে এভাবেই নদ খনন কাজের প্রতিবাদ জানান ময়মনসিংহের সংস্কৃতিকর্মীরা। কবি শামীম আশরাফ আয়োজন করেন মৃতের চিৎকার নামে ব্রহ্মপুত্র নদ রক্ষার এ কর্মসূচি।

এতে সামাজিক সংগঠন, সংস্কৃতিকর্মী, রাজনৈতিক নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ হাঁটুজলে নেমে প্রতিবাদ করেন।

শামীম আশরাফ জানান, হাজার কোটি টাকা বাজেট হওয়ার পরও, কাজ হওয়ার পরও কেন নদে হাঁটুজল? এই যে মৃত নদের এ চিৎকার অনেকের কাছে হয়তো পৌঁছাবে না। কিন্তু শিল্পের ভিতর দিয়ে দায়িত্বশীলসহ সবার কাছে নদের আর্তনাদ পৌঁছে দিতেই আমাদের এ চিৎকার। কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া জনউদ্যোগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু বলেন, ২ হাজার ৭৬৩ কোটি ৬০ লাখ টাকার খনন প্রকল্প চলছে ব্রহ্মপুত্রে।

গত বছর মে মাসে এক সভায় প্র্রকল্প পরিচালক বলেছিলেন, এ চলতি বছরের জুন-জুলাইয়ে নদে বার্জ, লঞ্চ-স্টিমার চলবে। কিন্তু আমরা দেখছি ঠিক উল্টো। জানা গেছে, দখল-দূষণ আর পলি জমে ভরাট হয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্রের নাব্য ফিরিয়ে আনতে ২০১৯ সালের শেষের দিকে শুরু হয় খননকাজ; যা ২০২৪ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

প্রায় ২ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নদের ২২৭ কিলোমিটার খনন করছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। খননের পর যমুনা-ব্রহ্মপুত্রের সংযোগস্থল জামালপুরের কুলকান্দি থেকে কিশোরগঞ্জের টোক পর্যন্ত নদটি ৩০০ ফুট প্রশস্ত ও শুষ্ক মৌসুমে ১০ ফুট গভীর থাকবে এমনটি কথা ছিল।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর