৪ জুন, ২০২৩ ১৯:২৬

পিছিয়ে পড়া ওয়ার্ডগুলোর উন্নয়নে নৌকায় ভোট চাইলেন লিটন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

পিছিয়ে পড়া ওয়ার্ডগুলোর উন্নয়নে নৌকায় ভোট চাইলেন লিটন

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন গণসংযোগ ও পথসভা করেছেন। 

রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় নগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের জাহাজঘাট এলাকা থেকে গণসংযোগ শুরু করেন তিনি। এরপর তিনি খোঁজাপুর, স্কুলমোড়, সাতবাড়িয়া, ডাঁশমারি, মিজানের মোড় সহ বিভিন্ন এলাকা গণসংযোগ ও পথসভা করেন। 

এ সময় মানুষের কাছে রাজশাহীর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য নৌকা মার্কায় ভোট চান খায়রুজ্জামান লিটন।

পথসভায় এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৭০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বরাদ্দ দেন। সেই প্রকল্পের মাধ্যমে নগরীতে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সবুজ, পরিচ্ছন্ন, আলোকিত ও বাসযোগ্য নগরী পেয়েছে রাজশাহীবাসী। আরো অনেক কাজ অসমাপ্ত আছে। সেই অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে চাই। এবার আমার লক্ষ্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি। আপনাদের সন্তানদের কর্মের ব্যবস্থা করতে চাই। রাজশাহীর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য আমাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন।

পথসভায় অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে দুইবারের সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আপনাদের ভোটে আমি দুইবার মেয়র ছিলাম। মেয়র থাকাকালে কোন বস্তি উচ্ছেদ করিনি, কারও একটি বাড়ি-ঘরও ভাঙা হয়নি। অথচ নির্বাচন আসলেই অপপ্রচার করা হয়। এসব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

খায়রুজ্জামান লিটন আরও বলেন, ২৮, ২৯ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের মতো পিছিয়ে পড়া ওয়ার্ডের নাগরিকরাও যাতে পূর্ণ নাগরিক সুযোগ-সুবিধা পান, সেটি নিশ্চিত করতে চাই। এজন্য আমাকে আরেকবার সুযোগ দিন, ২১ জুন সারাদিন নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করুন।

তিনি আরও বলেন, ভোটের দিন সকাল সকাল ভোট কেন্দ্রে যাবেন। নির্বাচনে ভোট দেওয়া আপনার নাগরিক অধিকার। আপনি কাকে মেয়র চান, কাকে কাউন্সিলর চান-সেটি আপনিই নির্ধারণ করবেন। আপনি যদি রায় দিতে ভুল করেন, তাহলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই ২০১৩ সালের মতো ভুল করা যাবে না। যে ভুলে রাজশাহী অনেক পিছিয়ে গিয়েছিল।

গণসংযোগকালে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক কবি আরিফুল হক কুমার, ২৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল হক সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর