শিরোনাম
২৯ জুন, ২০২৩ ২০:৫২

কোরবানির শতভাগ বর্জ্য অপসারণ রাসিকের

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:

কোরবানির শতভাগ বর্জ্য অপসারণ রাসিকের

দ্রুত সময়ের মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে গতবারের মতো এবারও রেকর্ড গড়েছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। ঈদুল আজহার দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে নগরীর শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। সন্ধ্যার পর নগরীর কোথাও আর কোরবানির বর্জ্য দেখা যায়নি। ঈদের পরদিনই পরিচ্ছন্ন নগরী পেতে পাচ্ছেন রাজশাহীবাসী।

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন জানান, সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের দিক-নির্দেশনা ও পরিচ্ছন্ন কর্মীদের নিরলস পরিশ্রমে বিগত চার বছর দ্রুত সময়ের কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হয়। ঈদের পরদিনই পরিচ্ছন্ন নগরীর দেখতে পান নগরবাসী। গত ২১ জুন নির্বাচনে এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি এখন দায়িত্বে না থাকলেও বিগত সময়ের দিক-নির্দেশনা ও আমাদের অভিজ্ঞতার আলোকে এবারো দ্রুত সময়ের কোরবানির বর্জ্য অপসারণে আমরা সক্ষম হয়েছি। পশু কোরবানির স্থান পানি দিয়ে ধুয়ে দেওয়া হয়, ছিটানো হয় ব্লিচিং পাউডার।

তিনি আরো বলেন, এবার নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে পশু কোরবানির জন্য মোট ২১০টি পয়েন্ট নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এর বাইরেও নগরবাসী বাড়ি সামনে রাস্তা ও ফাঁকা জায়গা পশু কোরবানি করেন। সকাল ১১টা থেকে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কাজ শুরু করে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা। সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে পশু জবেহ্ এর স্থান থেকে শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করে সিটি কর্পোরেশনের সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে (এসটিএস) নিয়ে আসা হয়েছে। রাতের মধ্যে এসটিএস থেকে সব বর্জ্য ভাগারে প্রেরণ কাজ সম্পন্ন হবে।

সিটি কর্পোরেশন জানিয়েছে, কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সিটি কর্পোরেশনের সকল পরিচ্ছন্ন কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়। ওয়ার্ড এবং কেন্দ্র মিলে ১ হাজার ৩৭৭ জন শ্রমিক পরিচ্ছন্নতার কাজে নিয়োজিত আছেন। জীবানুনাশক হিসেবে প্রতিটি ওয়ার্ডে ৫০ কেজি ব্লিচিং পাওডার ও ৪০ কেজি চুন প্রয়োগ করা হয়। পরিচ্ছন্নতার কাজে ২৪টি ট্রাক ও ২টি পানির গাড়ি ব্যবহার করা হয়। সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়।

বিডি প্রতিদিন/এএম 

 

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর