রংপুর নগরীর ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম সরোয়ার মির্জার বিরুদ্ধে নির্যাতন, হামলা, বাড়ি-ঘর ও গাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার দুপুরে স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এমন অভিযোগ করেন রিনা বেগম নামে এক নারী ও তার পরিবারের লোকজন। তবে কাউন্সিলর তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
রিনা বেগম বলেন, গত ৭ মে মুদিখানার দোকানের বাকি নিয়ে আমার মা রনজিনার সাথে বড় বোন রিক্তার কথা কাটাকাটির জেরে আমার বোন ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম সরোয়ার মির্জাকে নালিশ করেন। মির্জা হাতে লাঠি নিয়ে আমার বাড়ির সামনে এসে আমার মাকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করেন। আমি ও মা গালিগালাজের কারণ জানতে চাইলে তার হাতের লাঠি দ্বারা আমাকে এলোপাতারি মারধর করতে থাকে এতে করে আমার বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। এলাকাবাসী আমাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এবিষয়ে ১৫ মে আদালতে মামলা করি। মামলা করায় প্রতিপক্ষ আরও ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৭ জুন বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। সে সময় তারা তিনটি টিনসেড রুম ও ৫টি আধা পাকা বসত ঘর ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে এবং বাসার সামনে থাকা নোয়া মাইক্রোবাস ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে ৯৯৯ এ ফোন করা হলে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর পর থেকে প্রতিপক্ষ হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তাদের ভয়ে বাড়িতে যেতে পারছি না।
এদিকে এসব অভিযোগের বিষয়ে কাউন্সিলর গোলাম সরোয়ার মির্জা বলেন, ওই পরিবারটি চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সংবাদ সম্মেলন করেছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল