বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী কর্তৃক নড়াইলে যুবলীগ নেতা আজাদ শেখ হত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে প্রতিবাদ ও সমাবেশ করেছে যুবলীগ। বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে এই সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নিখিল বলেন, বিএনপি-জামায়াত একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। এদেশের মানুষ ভালো থাকুক, দেশের উন্নয়ন অব্যাহত থাকুক তা তারা চায় না। কারণ বিএনপির জন্মই হয়েছে গুম, খুন আর হত্যার রাজনীতির মাধ্যমে। তারা ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। ২০১৩-১৪ সালে অসংখ্য মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে। বিএনপি-জামায়াত হত্যার রাজনীতি ছাড়া অন্য কোনো রাজনীতি বোঝে না।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নামক সন্ত্রাসী সংগঠনটি যতদিন বাংলার মাটিতে থাকবে ততদিন এদেশের মানুষের কোনো শান্তি থাকবে না, জুলুম হবে, অত্যাচার হবে, হত্যাকাণ্ড ঘটবে। তিনি আরও বলেন, গতকাল ২০ জুলাই বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত খুলনা বিভাগীয় তারুণ্যের জয়যাত্রা সমাবেশ শেষে বাড়ি ফেরার পথে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পেরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আজাদ শেখ-কে ওৎপেতে থাকা বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে। শুধু তাই নয় গতকাল ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের অন্তর্গত ১২নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা শেখ ওয়ালিউল্লাহ রুবেলকেও নির্মমভাবে হত্যা করেছে বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীরা। অবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক।
যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য তাজউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু মুনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক কাজী খালিদ আল মাহমুদ টুকু, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মো. রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মো. গোলাম কিবরিয়া শামীম।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সহ-সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন শাহ জয়, মো. বাবলুর রহমান বাবলু, মো. রাশেদুল হাসান শাফিন, মো. মনিরুল ইসলাম আকাশ, কার্যনির্বাহী সদস্য কায়কোবাদ ওসমানী, মো. সাখাওয়াত হোসেন ভূইয়া, অ্যাড. কাজী বশির আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার মো. মুক্তার হোসেন চৌধুরী কামাল, অ্যাড. মো. শওকত হায়াত, ইঞ্জিনিয়ার আবু সাইদ মো. হিরো, ইঞ্জিনিয়ার মো. শহিদুল ইসলাম সরকার, ডা. মো. আওরঙ্গজেব আরুসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল