ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে হত্যা মামলার আসামি বন্দী হাজতি মো. সামসাদ আলী গুল্লার (৩২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটায় ঢামেকের জরুরি বিভাগে মারা যান তিনি।
অপরজন মানব পাচারকারী মামলার আসামি বন্দী হাজতি প্রিসন সাংমা (৩০)। তিনি সোমবার দিবাগত রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢামেকে মারা যান।
জানা যায়, অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) থেকে কারারক্ষীরা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সামসাদ আলী গুল্লারকে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টায় ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপরজনকে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) থেকে কারারক্ষীরা প্রিসন সাংমাকে (৩০) রবিবার ঢামেকের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দিবাগত রাত ১টা ৫০ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দুটি ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।
কারা সূত্রে জানা যায়, মৃত সামসাদ আলী গুল্লার হত্যা মামলায় বন্দী ছিলেন। আর মৃত প্রিসন সাংমা মানবপাচার মামলায় বন্দী ছিলেন। মৃত সামসাদ আলী গুল্লার মিরপুর ১২ নম্বর সেকশন পল্লবী থানা এলাকার বাসিন্দা। পেশায় তিনি সেলুন কর্মচারী এবং পল্লবী থানার হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। বাবার নাম মো. শওকত আলি।
মৃত প্রিসন সাংমা শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার বাকা কোড়া গ্রামের কৃষক জনসন মারাকের ছেলে। তিনি উত্তরা পশ্চিম থানার মানবপাচার মামলায় বন্দী ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই