পোশাক শিল্প নিয়ে দেশ-বিদেশী চক্রান্ত চলছে। একটি চক্র দেশের শিল্প ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে। এই শিল্প ধ্বংস করতে পারলেই তাদের উদ্দেশ্য হাসিল হবে। চার বছর পূর্ব যে কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে, এখন ওই কারখানার শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলন করছে। শ্রমিক কখনো তার কর্মস্থলে আগুন দিতে পারে না, বাইরের অপশক্তিতে এসব হচ্ছে। এটা শ্রমিকদেরও বুঝা উচিত।
তিনি বলেন, কারখানার উৎপাদন বন্ধ করে আন্দোলন করলে কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। সময়মতো মাল শিপমেন্ট দিতে না পারলে বিদেশি ক্রেতারা মুখ ফিরিয়ে নিবেন। গত কয়েক দিনের আন্দোলনে সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরে শতাধিক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। কারখানা বন্ধ হলে লাখ লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বে। শ্রমিকদের অনেক দাবি যৌক্তিক, মালিকরা চাইলে তা পূরণ করতে পারেন। আবার কিছু দাবি এখনই বাস্তবায়ন যৌক্তিক না। এসব বিষয় মালিক শ্রমিক সবাইকে বুঝতে হবে। দেশের শিল্প বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুরের টঙ্গী শিল্প সম্পর্ক শিক্ষায়তনের সভা কক্ষে শ্রম অসন্তোষ ও শ্রম পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে ঝুট ব্যবসার দ্বন্দ্বের পোশাক কারখানার শ্রমিকদের ব্যবহার করা হচ্ছে, এ কারণে শিল্প নগরীতে অসন্তোষ কাটছে না। গত ৫ আগস্টের পর বহু শিল্প মালিক দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। এ কারণে সেসব ফ্যাক্টরিতে বেতন পরিশোধ হচ্ছে না। তবে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া কোন কারখানা মালিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করে তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোন সমস্যা থাকলে সেটা মালিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সকল শ্রমিকদের নিজের প্রতিষ্ঠান মনে করে কাজে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানান। শিল্প বাঁচলে দেশ বাঁচবে, তাই দেশ বাঁচাতে সবার এগিয়ে আসা উচিত।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) তরিকুল ইসলাম, বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলামসহ বিজিএমইএ কর্মকর্তা, গাজীপুর জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোমেনসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রধান অতিথি টঙ্গীর পাগাড় এলাকায় জাবের অ্যান্ড জোবায়ের গার্মেন্টস কারখানার কর্ম পরিবেশ পরিদর্শন করেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত