বরিশালে শিশু ও কিশোরীদের 'এইচপিভি' টিকা ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বরিশাল সদর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার ও সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. শওকত আলী।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফের সহযোগিতায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. পল্লবী সুলতানা।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি মো. নাজিমুল হক, বরিশাল সিটি
কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধিবৃন্দ।
এসময় বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী বলেন, জরায়ুমুখ ক্যান্সার নির্মূলে এইচপিভি টিকাদান বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। এর প্রেক্ষিতে বরিশাল বিভাগে ৫ লাখ শিক্ষার্থী ও কিশোরীকে টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ১০ থেকে ১৪ বছরের মেয়েরা কোন ভাবেই যেন এইচপিভি টিকা কার্যক্রম থেকে বাদ না পড়ে সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, এই ভ্যাকসিনের কোন বিরূপ প্রতিক্রিয়াও নেই। জরায়ুমুখ ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে বাঁচতে এইচপিভি টিকা কার্যকরী
ভূমিকা পালন করে।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. পল্লবী সুলতানা বলেন, বরিশাল সিটি করপোরেশনে ৩০টি ওয়ার্ডের আওতায় ২১ হাজার ৭০৩ জন কিশোরীদের এ টিকা দেওয়া হবে। আগামী ১৮ দিনের ক্যাম্পেইনের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ১০ দিন ৩২০টি স্কুল ও মাদ্রাসার ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্রীদের এবং বাকি ৮ দিন ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদের ১০৩টি কমিউনিটি কেন্দ্রের মাধ্যমে এইচপিভি টিকা দেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/মুসা