গাজীপুরের টঙ্গীতে পাঁ-বেঁধে শ্বাসরোধে গৃহবধূকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে টঙ্গীর মিরাশপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত ওই গৃহবধূ নাম ময়না (৩৭) বেগম। সে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার দূপপাশা গ্রামের আয়নাল মাদবরের মেয়ে।
খবর পেয়ে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহিদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
এঘটনার পর আলম (৪৩) পলাতক রয়েছেন। সে বরগুনা জেলার সদর থানার আড়িখাল গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে। আলম পেশায় একজন চা বিক্রেতা। মৃত ময়না টঙ্গীর মিরাশপাড়া এলাকার শফিউর রহমানের বাড়িতে একটি কক্ষে স্বামী আলমের সাথে বসবাস করতেন।
স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, নিহত ময়না বেগম টঙ্গীতে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। প্রায় সাত মাস আগে আলম ও ময়না নিজেদের পছন্দে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই কথা-কাটাকাটি ও ঝগড়া হতো। এরই জের হিসেবে আজ সকালে ঘুমের ঘরে পাঁ-বেঁধে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে। পরে স্বামী আলম বাসা থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর পার্শ্ববর্তী কক্ষের ভাড়াটিয়া মাহফুজা আক্তার ওই কক্ষে গেলে বিছানার উপর ময়নার পাঁ বাধা ও বালিশ চাপা দেয়া নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর পাঠালে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কায়সার আহমদ বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হবে। হত্যার অভিযোগে স্বামী আলমকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল