রংপুরে টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে ছিল সবজির দাম। গত ৩/৪ দিন ধরে সবজিতে কিছুটা স্বস্তি এসেছে। তবে পিঁয়াজের অস্থিরতা কমেনি। ডিমের দামে কিছুটা লাগাম ধরেছে।
রংপুর নগরীর সিটি বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কয়েকদিন আগেও যে লাউ ৫০ টাকা থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে তা বর্তমানে কমে ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কয়েকদিন আগে বেগুন, মুলা প্রতি কেজি বিক্রি হত ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা। এখন প্রতি কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।
কয়েকদিন আগে বেগুন বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা কেজি। তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। মুলা আগে বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। তবে পিঁয়াজের বাজারের অস্থিরতা কমেনি। প্রতিকেজি পিঁয়াজ স্থান ভেদে ১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস ডিমের দামও কিছুটা কমেছে। আগে প্রতি পিস ডিম বিক্রি হত ১৪ টাকায় এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকায়।
এদিকে, আলুর দাম কমার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। প্রতিকেজি আলু প্রকার ভেদে ৫৫ টাকা থেতে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ধনে পাতা এক সপ্তাহ আগেও সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে ধনে পাতা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা কেজি। শীতের শিম কয়েকদিন আগে হাত দেওয়া যেত না। কয়েকদিন আগে প্রতিকেজি শিম সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বিক্রি হলেও তা এখন কমে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রসুন বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকা কেজি। কাঁচা মরিচে ঝাল অনেকটা কমেছে। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১২০/১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছ, মাংস ও মুরগির দাম রয়েছে স্থিতিশীল।
ভ্রাম্যমাণ সবজি বিক্রেতা আব্দুল লতিফ বলেন, সবজির দাম কিছুটা কমায় আগের চেয়ে বিক্রি বেড়েছে।
ভোক্তারা জানান, সঠিকভাবে বাজার মনিটরিং না হওয়ার কারণে কয়েকদিন আগে সবজিসহ বিভিন্ন নিত্য পণ্যের দাম বেড়েছে। বর্তমানে সবজির দাম কিছুটা কমায় ক্রেতাদের স্বস্তি আসতে শুরু করেছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই