সাভারের আশুলিয়ায় অবৈধ বেকারি কারখানায় খামি তৈরীর জন্য ব্যবহার করা ময়দা মিক্সার মেশিনে কাজ করার সময় অসাবধানতাবশত মেশিনের মধ্যে কাটা পড়ে ইমরান (২৪) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করেন।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়ন টেংগুরি এলাকার মালা বেকারীতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে।
নিহত ইমরান মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার ব্যাংচড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে। সে আশুলিয়ার টেংগুরি নির্মাণটেক এলাকায় মাহাতাবের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় মালা বেকারীতে চাকুরী করতো।
প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিক রজমান বলেন প্রতিদিনের মত সকাল থেকেই ইমরান বেকারীতে এসে ময়দা মিক্সার মেশিনে কাজ শুরু করে। একপর্যায়ে অসাবধানতাবশত তার একটি হাত মেশিনে আটকে যায় এবং ধীরে ধীরে মেশিনের ভেতরে চলে যায়। তিনি হাতটি বের করার চেষ্টা করেও ব্যার্থ হওয়ায় মেশিনের ভেতর আটকে গেলে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।
বেকারির মালিক ইমদাদুল হক বলেন ইমরানের বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই। শুধু দুইটি বোন আছে। সে ছোট বেলা থেকেই আমাদের বেকারীতে কাজ করে। সম্পর্কে তাদের চাচা হন। ইমদাদুল ও তার ভাই আনোয়ার মিলে মালা বেকারী পরিচলনা করেন। প্রতিদিনের মতো সকালে ইমরান কাজে আসে এবং অসাবধানতার কারণে ময়দা মিক্সার করার মেশিনে ঢুকে গেলে তার মৃত্যু হয়।
এলাকাবাসী বলেন মালা বেকারি কোন অনুমোদন নেই। অনুমোদন না নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে তারা বেকারী চালাচ্ছে। আইন অমান্য করে তারা শিশু শ্রমিক দিয়েও এই বেকারী চালানোর অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
আশুলিয়া থানার এসআই (উপ-পরিদর্শক) মদন শাহা বলেন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। এদিকে আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকার থেকে এক যুবকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) কামাল হোসেন জানান, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হবে বলেও তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন/আশিক