সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। সেইসঙ্গে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে জলকামানও ব্যবহার করা হয়েছে।
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর পরিবর্তে ৩৫ করার দাবিতে আজ বুধবার বেলা ১১টায় রাজধানীর শাহবাগ থানার উল্টো পাশে বিক্ষোভ ও সমাবেশ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা।
এর আগে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের করা কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবিতে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশীরা। তখন পুলিশের বাধার সম্মুখীন হলে তারা সেখান থেকে সরে গিয়ে শাহবাগ থানার সামনে ফুলের দোকানগুলোর সামনে অবস্থান নেন।
পরে সেখান থেকে দুপুরে শিক্ষা ভবন অভিমুখে যাত্রা করেন। আন্দোলনকারীদের দলটি হাইকোর্ট এলাকা পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ তাদের ওপর জলকামান দিয়ে পানি ছুড়তে থাকে এবং লাঠিচার্জ করে। এতে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন। পুলিশের লাঠিচার্জে কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
তারা ‘বয়স না মেধা, মেধা মেধা’, ‘আবু সাঈদের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘এক দুই তিন চার, পঁয়ত্রিশ আমার অধিকার’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
অবস্থান কর্মসূচি অংশ নিয়ে আবু নাঈম বলেন, আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে একটা কমিশন গঠন করে দেওয়া হয়েছিল। তারা আমাদের দাবি বিবেচনায় নিয়ে বয়সসীমা ৩৫ করার পক্ষে সুপারিশ করে। সেই সুপারিশকে অগ্রাহ্য করে বয়সসীমা ৩২ করা হলো। তারা যদি তাদের কমিশনের ওপরেই আস্থা রাখতে না পারে তাহলে কীভাবে হবে। আমরা বয়সসীমা ৩২ বছর করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করছি। বয়সসীমা ৩৫ বছর করতে হবে এবং শিগগিরই সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
বিডি প্রতিনিধি/জুনাইদ