রাজধানীতে দুই সিটি করপোরেশনের ১৩টি স্থানে আগামীকাল রবিবার থেকে কম দামে ডিম পাওয়া যাবে। উৎপাদক থেকে ডিলারের মাধ্যমে সরাসরি ভোক্তা পর্যায়ে ডিম সরবরাহ করবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ শনিবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) ‘বাজার অস্থিরতার কারণ নিয়ে’ ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে এ কথা জানান ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।
তিনি বলেন, ঢাকা সম্প্রসারিত হলেও স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত তেজগাঁও ও কাপ্তানবাজার—এই দুটি স্থানে ডিমের আড়ৎ রয়েছে। ভোক্তাদের সুবিধার্থে আগামীকাল থেকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ছয়টি ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে সাতটি সাবসেন্টারে সরাসরি ডিম বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মোহাম্মদ আলীম আখতার খান জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের তেজগাঁও বাজার, মিরপুর-১, মিরপুর-১০, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, সাদেক খান কৃষি মার্কেট (মোহাম্মদপুর) ও উত্তরা-১০ (খামারপাড়া রোড) স্থানগুলোয় এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাপ্তান বাজার, নিউমার্কেট, খিলগাঁও, জুরাইন, কোনাপাড়া সারুলিয়া, শনির আখড়া ও চিটাগাং রোডসহ ১৩টি কেন্দ্রে প্রতিদিন ২০ লাখ ডিম সরাসরি উৎপাদক থেকে এজেন্ট বা ডিলারের মাধ্যমে ভোক্তাদের জন্য সরবরাহ করা হবে। এর সার্বিক দায়িত্বে থাকবে দুই সিটি করপোরেশন।
এর মধ্যে তেজগাঁও বাজার ও কাপ্তান বাজারে প্রতিদিন ৬ দশমিক ৫ লাখ করে মোট ১৩ লাখ এবং অবশিষ্ট ১১টি বাজারে মোট ৭ লাখ ডিম সমানুপাতিক হারে বণ্টন করে বিক্রির জন্য সরবরাহ করা হবে বলে তিনি জানান।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘আজ অনুষ্ঠিত সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুসারে নির্ধারিত ১৩টি বাজারে ডিম সরবরাহের লক্ষ্যে গাড়ি পার্কিংসহ লোডিং-আনলোডিংয়ের জন্য পর্যাপ্ত জায়গার বিষয়ে সিটি করপোরেশনের প্রশাসকদের মৌখিক ও চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে।’
মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেন, রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সরকার ইতোমধ্যে কিছু দ্রব্যাদির ওপর শুল্ক প্রত্যাহার করেছে। ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, ডাল, খেজুরসহ রোজায় অতি প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি আমদানিতে এলসি মার্জিন উঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এতে রোজায় নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।
বিডি প্রতিনিধি/জুনাইদ