মশা নিয়ন্ত্রণে দৈনন্দিন কার্যক্রমের পাশাপাশি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) এলাকায় ৫৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন’ কার্যক্রম তথা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ডিএসসিসির সব ওয়ার্ডে দৈনন্দিন নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি সংস্থার স্বাস্থ্য বিভাগ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সমন্বয়ে ডেঙ্গু মশা নিয়ন্ত্রণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও জনসচেতনতা উদ্বুদ্ধ করতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে মোট ২৭২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ মশা নিধন কার্যক্রমে ৮৭৩ জন মশককর্মী এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৫৩০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী অংশ নেন।
এর আগে, গত ১৩ নভেম্বর ২৫৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ দুদিনে মোট ৫৩০ প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে মোট ২ হাজার ৭০৯ জন মশককর্মী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাজ করেন। প্রতিদিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রেরিত তালিকা অনুযায়ী ডেঙ্গু রোগীর আবাসস্থল ও চারপাশে বিশেষ লার্ভিসাইডিং ও অ্যাডাল্টিসাইডিং কার্যক্রমের মাধ্যমে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা হয়েছে।
গত ১৩ নভেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, সারা বাংলাদেশে মোট শনাক্তকৃত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ২২১ জন। তার মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় রোগীর সংখ্যা ১৭১ জন দেখানো হয়। তবে তালিকা অনুযায়ী সরেজমিনে যাচাই-বাচাই শেষে ডিএসসিসির এলাকা থেকে ৪০ জন রোগী পাওয়া যায়। অন্যান্য রোগীরা দক্ষিণ সিটির আওতাধীন এলাকার বাইরে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে ডিএসসিসির আওতাভুক্ত এলাকায় আত্মীয়-স্বজন কিংবা হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ