নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পিরোজপুর ইউনিয়নের দুধঘাটা এলাকায় শাহজাহান নামের এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে ‘হত্যার’ অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ইমরান ছোট কোরবানপুর গ্রামের মৃত আশেক আলীর ছেলে। ইমরানকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন ইমরান।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের কোরবানপুর গ্রামের সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীরা পাওনা টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে গত ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে শাহজাহান মিয়াকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পাওনা টাকা নিয়ে তাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্ধ চলছিল তার। কোরবানপুর মাতলাপাড়া এলাকায় একটি বালুর মাঠে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা ইমরান, সাকিব, বিজয়, আনোয়ার ও নূর হোসেনসহ ৮-১০ জনের একটি দল তাকে ছুরিকাঘাত করে হাতের ও পায়ের রগ কেটে আহত করে।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়। সোমবার সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আল ইসলাম গত মঙ্গলবার বিকেলে বাদি হয়ে ৬ জনকে আসামী করে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেন। হত্যা মামলার প্রধান আসামী ইমরান হোসেনকে পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে বুধবার রাতে কাঁচপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
সোনারগাঁ থানার ওসি আব্দুল বারী বলেন, শাহজাহান মিয়া হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। হত্যকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে আসামি। সে আদালতে ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেবে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ