জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার সমন্বিত গণঅভ্যুত্থানে দেশের জনগণ এক নতুন বাংলাদেশ পেয়েছে মন্তব্য করে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. রায়হান কাওছার বলেছেন, জনগণের অভিপ্রায় অনুযায়ী নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ এখন সবার দায়িত্ব।
শনিবার বরিশাল জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ওই সভায় বিভাগীয় কমিশনার আরো বলেন, গণঅভ্যুত্থানে নতুন একটি অধ্যায় সূচনা হয়েছে। আমরা চাই আধুনিক ও বৈষম্যহীন সমাজ। বাংলাদেশে কোন বৈষম্য থাকতে পারে না। সবাইকে নিয়ে আমরা যেন সুন্দর বাংলাদেশ, সুন্দর সমাজ ও সুন্দর বিশ্ব গড়তে পারি সেই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বরিশাল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় ৩০ শহীদের পরিবারের সদস্য ও ১০২ জন আন্দোলনে আহত ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত ডিআইজি মো. নাজিমুল হক, বরিশাল ক্যাম্প কমান্ডার মেজর হাফিজ, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার আলাউল হাসান, বরিশাল সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান, বরিশাল মহানগর বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক, সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন, উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক দেওয়ান মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, দক্ষিন জেলার আহবায়ক আবুল হোসেন খান, সদস্য সচিব আবুল কালাম শাহীনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সভার শুরুতে আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন এবং অনুষ্ঠান শেষে বিশেষ দোয়া করা হয়। এছাড়াও নিহতদের পরিবারের সদস্যদের ১০ হাজার ও আহতদেরকে এক হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে।
বরিশাল জেলায় আহত ও নিহতদের পরিবারকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বরিশাল জেলায় ৩০ জন ছাত্র-জনতা শহিদ হয়েছে। গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্ত তালিকা অনুযায়ী জেলায় ২৬২ জন আহত হয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ