সোমবার, ৬ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা
সংসদে বিদ্যুৎবিভ্রাট

পুলিশ সদস্যরাও মাদক ব্যবসায় জড়িত

পুলিশ সদস্যরাও মাদক ব্যবসায় জড়িত

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ বলেছেন, মাদকসেবীদের জ্বালায় শহরাঞ্চলের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। রাজধানীর শাহবাগ, কমলাপুর, মতিঝিলসহ বিভিন্ন পার্কে প্রকাশ্যে ও গোপনে বিভিন্ন মাদক বিক্রি হচ্ছে। আর এর জন্য বাড়ছে যৌন ব্যবসাসহ যৌন হ্যারাজমেন্ট। এর থেকে বাদ নেই ধনী পরিবারের ছেলে-মেয়েরা। রাজধানীর নামকরা অনেক কলেজ ও স্কুলের আশেপাশেও মাদক এখন সহজলভ্য হয়ে পড়েছে। কিন্তু তা নিয়ন্ত্রণে আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সম্পূর্ণ ব্যর্থ। এমন কি মাদক ব্যবসার সঙ্গে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর অনেক সদস্য জড়িত বলে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার খবরে আসছে। কোনো কোনো পুলিশ কর্মকর্তাও এসব ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। জাতীয় সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনের গতকালের বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

এদিকে দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীদের দায়িত্ব এড়ানো সম্পর্কিত এক প্রশ্নের উত্তরে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম গতকাল সংসদে বলেন 'সব যদি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে হয় তাহলে মন্ত্রীরা কী করেন?'।

তিনি উল্লেখ করেন, 'মাননীয় মন্ত্রীরা শুধু কথায় কথায় বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে।' এ সময় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন। এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেন, রেলপথ যাত্রা আরামদায়ক এবং সাশ্রয়ী। তবে মন্ত্রীর এই বক্তব্য খণ্ডন করে হাজী সেলিম বলেন, 'মন্ত্রী বলেছেন, রেল আরামদায়ক। কিন্তু আমি দেখি না। রেলে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে। কয়েক দিন পর পর রেল দুর্ঘটনা ঘটছে।' নারায়ণগঞ্জের একটি দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'এখানে অবৈধ রেলক্রসিংয়ের কারণে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল কয়েকজনের। এভাবে রেলের জায়গা দখল করে বাজার, দোকানপাট করা হয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর