রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

অত্যাচারে বিপর্যস্ত চট্টগ্রামের চার নদী

আজ বিশ্ব নদী দিবস

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও চট্টগ্রাম

আজ বিশ্ব নদী দিবস। নদী সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের শেষ রবিবার এ দিবসটি পালন করা হয়। বাংলাদেশে এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় ‘সুস্থ নদী সুস্থ নগর’। এ উপলক্ষে আজ সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এ ছাড়া ঢাকার বাইরে সিলেটে সুরমা ও কুশিয়ারা; ভৈরবে মেঘনা; নড়াইলে চিত্রা; মধুমতি, নবগঙ্গা; গোপালগঞ্জে মধুমতি; মানিকগঞ্জে কালিগঙ্গা; রাজশাহীতে পদ্মা নদী ও ময়মনসিংহে ব্রহ্মপুত্র নদে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে।

ব্রিটিশ কলম্বিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি ১৯৮০ সালে দিবসটি পালন শুরু করে। এরপর জাতিসংঘের বিভিন্ন সহযোগী সংস্থা দিবসটি পালন করছে। বাংলাদেশে ২০১০ সালে রিভারাইন পিপল নামের একটি সংস্থা দিবসটি পালন শুরু করে। দিবসটি পালনের অংশ হিসেবে শুক্রবার বেলা ১১টায় বুড়িগঙ্গায় অঙ্গীকার বাংলাদেশ ও অনির্বাণ ’৭১-এর আয়োজনে নদীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করে নদীতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। দখল, দূষণ ও ভরাটে বিপর্যস্ত চট্টগ্রামের ৫৪৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের চার নদ-নদী— কর্ণফুলী, হালদা, মাতামুহুরী ও সাঙ্গু। কিন্তু এসব নদ-নদী বাঁচাতে সরকারের কার্যকর উদ্যোগ অত্যন্ত অপ্রতুল। ফলে ‘মনুষ্য অত্যাচারে’ প্রাকৃতিক এ নদ-নদীগুলো এখন মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান আতাহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রধান কাজ হলো নদ-নদীগুলোর দূষণ রোধ, অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ ও নদীর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে জনসচেতনতা তৈরি। আমরা এসব কাজ করে যাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের চারটি নদ-নদী নিয়ে আমরা ইতিমধ্যে তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা তথ্য দেননি। তবে আগামী মাসে আবারও এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।’ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, প্রকৃতি সুস্থ থাকলে নগর সুস্থ থাকে। নদী হলো প্রকৃতির রক্তনালি, পানি হলো এর রক্ত। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, চট্টগ্রামের নদ-নদী চারটির অবস্থা এখন বেশ নাজুক। দখল-দূষণে বিপর্যস্ত অন্যতম নদী কর্ণফুলী।

সর্বশেষ খবর