পয়লা বৈশাখের উৎসব ঘিরেই কৌশলে প্রচারণায় ছিল আসছে সিটি নির্বাচনের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। বিশেষ করে মেয়র পদে দুই প্রার্থীর দিনভর দম ফেলার ফুরসত ছিল না। কখনও তারা জয়নুল উদ্যানে, আবার কখনও পাড়া-মহল্লায় সবর ছিলেন তারা। নিয়ম অনুযায়ী আগামী বৃহস্পতিবার প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচারণা শুরুর কথা প্রার্থীদের। কিন্তু গ্রামীণ এ উৎসবকে এবার ‘নির্বাচনী’ বৈশাখে রূপ দিয়েছেন প্রার্থীরা। অংশ নিয়েছেন বৈশাখের আচার-অনুষ্ঠানে। বৈশাখের সকালেই আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইকরামুল হক টিটু অংশ নেন মঙ্গল শোভাযাত্রায়। সেখান থেকে ছুটেন ব্রহ্মপুত্রের ওপারে রক্তদান কর্মসূচিতে। পরে নগরীর একটি হোটেলে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পান্তা-ইলিশের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এ ছাড়া দুর্গাবাড়িতে ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতি, বিকালে নদের ওপারে চারটি ও আকুয়া এলাকায় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। বৃদ্ধ বনাম যুবাদের দিবা-রাত্রি ম্যাচেও উপস্থিত থেকে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি কাড়েন। তবে যখনই সুযোগ পেয়েছেন ছুটে এসেছেন জয়নুল উদ্যানে। অপরদিকে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আহম্মেদ মঙ্গল দিনভর সাধারণ ভোটারদের দোড়গোড়ায় থাকার চেষ্টা করেছেন। সকালে দলীয় কার্যালয়ে পান্তা-ইলিশের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এরপরপরই জয়নুল উদ্যানের বৈশাখী মঞ্চের সামনে আগতদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সাধারণ ভোটারদের নিয়ে উৎসবে মাতেন চড়কালিবাড়ি ও সুতিয়াখালি এলাকায়। সন্ধ্যার পর রহমতপুরে স্থানীয়দের সঙ্গে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পিছিয়ে নেই ৩৩ ওয়ার্ডের সাধারণ ও মহিলা কাউন্সিল পদের ৩৩০ প্রার্থীও।
নিজ মহল্লায় বর্ষবরণ উৎসবে প্রার্থীরা অনেকটা স্বেচ্ছায়ই যোগ দিয়েছেন। উন্নয়নের বুলি অওড়িয়ে চেষ্টা করেছেন ভোটারদের মন কাড়তে। বাড়াতে চেয়েছেন জনসম্পৃক্ততা। মোদ্দাকথা, বিভিন্ন উপায়ে বেশ জোরেশোরেই গণসংযোগে ছিলেন তারা। পুরনো ২১টি ও নতুন ১২টি ওয়ার্ড নিয়ে দেশের দ্বাদশ এই সিটি করপোরেশনের প্রথম ভোট ৫ মে। মোট ভোটার প্রায় ২ লাখ ৯৬ হাজার।