শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

আন্দোলনকারীরা ক্লাসে ফিরল

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পদক্ষেপ পর্যবেক্ষণে রেখে ক্লাসে ফিরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এক সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তারা।

এর আগে, বুধবার সাত কলেজের অধিভুক্তি সমস্যার সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদকে আহ্বায়ক করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে ১৫ দিনের মধ্যে ‘বৈজ্ঞানিক উপায়ে’ সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। প্রশাসনের এসব পদক্ষেপ বিবেচনায় নিয়ে ক্লাসে ফিরল আন্দোলনকারীরা। সকাল ১১টার দিকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। তবে এদিন কোনো ভবনে তালা লাগানো হয়নি। ক্লাসও চলেছে স্বাভাবিকভাবে।  পরে অপরাজেয় বাংলার সামনে সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র শাকিল মিয়া বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে অন্যান্য কর্মসূচি চলমান থাকবে। প্রশাসনের দেওয়া আশ্বাসকে পর্যবেক্ষণে রেখে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’

এ সময় সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে আগামী রবিবার রাষ্ট্রপতির কাছে স্বারকলিপি দিতে যাওয়ার কথাও জানান আন্দোলনকারীরা। তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি সাত কলেজ অধিভুক্তি বাতিল না করে বা কালক্ষেপণ করে, তাহলে আবার কঠোর আন্দোলনে যাবেন তারা।

আন্দোলনকারীদের দাবি, ‘সাত কলেজের অধিভুক্তি ছিল একটি অপরিকল্পিত সিদ্ধান্ত। যে কারণে শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। কিন্তু প্রশাসন বারবার মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছে। এ সময় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা পুনরায় বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

অধিভুক্তি সংকট সমাধানে ছাত্রফ্রন্টের তিন প্রস্তাব : ঢাবিতে সাত কলেজের অধিভুক্তি নিয়ে সৃষ্ট সংকট সমাধানে তিন দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির প্রস্তাবনা তুলে ধরে বক্তব্য দেন ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাসুদ রানা।

ছাত্রফ্রন্টের প্রস্তাবনাগুলো হলো- আশু সমাধান হিসেবে সাত কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কর্মকা- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্পূর্ণ পৃথক করা; স্থায়ী সমাধান হিসেবে সাত কলেজের মধ্যে প্রধান কলেজগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করে অন্যান্য কলেজগুলোকে তার অধিভুক্ত করা এবং সকল প্রকার বাণিজ্যিক কোর্স বন্ধ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত ছাত্রদের শিক্ষার মান উন্নত করে বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রকৃত উচ্চশিক্ষার কেন্দ্রে পরিণত করা প্রভৃতি।

সর্বশেষ খবর